কলকাতাঃ চলে গেলেন বলিউডের তারকা গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে। বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। সুরের জগত থেকে কে কে চলে গেলেন অন্য এক জগতে, যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসেনা। কে কে নামে পরিচিত বিশিষ্ট গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের অকাল মৃত্যুতে দেশ শোকাহত। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে দেশ ও বিদেশের অসংখ্য ব্যাক্তিত্ব।
মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। লাইভ শো শেষে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হোটেলে পড়েও যান বলে খবর। পারফরম্যান্সের সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপরই তাকে নিয়ে আসা হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে ৯টা।
প্রধানমন্ত্রী তার ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “কে কে নামে পরিচিত বিশিষ্ট গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত। তার গানে আবেগের বিস্তৃত পরিসর প্রতিফলিত হয়েছে। তার গানের মাধ্যমে আমরা তাকে সবসময় মনে রাখব। তার পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।“
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার ট্যুইট বার্তায় লিখেছেন, “কে কে একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং বহুমুখী গায়ক ছিলেন। তার অকাল মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভারতীয় সঙ্গীতের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি। তার প্রতিভাধর কণ্ঠে তিনি অগণিত সঙ্গীতপ্রেমীর মনে অমলিন ছাপ রেখে গেছেন। তার পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। ওম শান্তি শান্তি”
শিল্পীর আকস্মিক প্রয়াণে শোকের ছায়া সর্বত্র। রাতে তাঁর দেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বুধবার কেকের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। সকালেই শহরে আসার কথা তাঁর স্ত্রী ও পুত্রের। কেকের মৃত্যুর খবর ফেসবুকে প্রথম জানান কিশোরপুত্র অমিত কুমারের স্ত্রী রিমা গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে শোকের ছায়া নেমে আসে অনুরাগী মহলে। সুরের শহর কলকাতা শিল্পীর গানের শেষ সাক্ষী হয়ে রইল।