কিন্তু, কেন এই অগ্নিকান্ড? কেন অতি দ্রুত আয়ত্তে আনা গেল না আগুনকে? কে দায়ি? প্রশ্ন অনেক। উত্তর বিশেষ কিছু নেই। আছে কিছু অনুমান, অন্ততঃ এই মুহুর্তে। কেউ দাবি করেছেন, আগুনের কারণ নির্ণয় না করেই জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা হয়েছে। জানা গেছে, বিএম ডিপোতে হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড ভর্তি প্রায় ৩৩ টি কন্টেনার ছিল, যাতে ৮০০ মেট্রিক টন রাসায়নিক বোঝাই ছিল। স্বভাবতইঃ আগুন লাগার কারণ না জানা গেলেও, আগুন ছড়াচ্ছিল এইসব কন্টেনারের রাসায়নিক বিষ্ফোরণের ফলে। রাসায়নিক সৃষ্ট আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর, এক্ষেত্রে জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করলে তা আরো ভয়াবহ হয়। এগুলো কি জানা ছিলনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
অভিযোগ, বিএম ডিপোতে অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে রাসায়নিকের আগুনের ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় নেওয়া হয়নি। এতে হতাহতের ঘটনা বেড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীরও মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪ জন। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, এর আগেও এর আগেও বিভিন্ন সময় রাসায়নিক আগুনে বহু মানুষ মারা গেছেন। এগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া বা সেইমতো ব্যবস্থা নিলে আজ এতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মৃত্যুও আজ প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ফায়ার ফাইটার সামগ্রী, উপযুক্ত প্রশিক্ষণএর প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে এসেছে। একইসঙ্গে, প্রশ্ন উঠেছে, যে ডিপোতে এত রাসায়নিক রাখা হয়েছিল কন্টেনারে, সেখানে আগুন নির্বাপনের উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল কিনা। যদি থেকেও থাকে, তা এই বিরাট রাসায়নিকে সম্ভারের কাছে কতটুকু? প্রশ্ন অনেক? উত্তর খোঁজার কাজ চলছে। একইসঙ্গে চলছে বেঁচে ওঠার লড়াই। পুড়ে যাওয়া মানুষের অন্তিম আর্তনাদ এখনো কানে বাজছে সকলের। তীব্র যন্ত্রনায় কাতর অসহায় মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে, প্রাণ কেদে উঠছে পরিবারের। মৃত স্বজনের দেহ ঘিরে এই বিলাপ আর কতদিন?