পুলিশ সদস্যের পুরুষাঙ্গ কেটে দিলো তালাক প্রাপ্ত ২য় স্ত্রী

 


ভয়েস ,ঢাকা ব্যুরো: বাংলাদেশের যশোরের এক পুলিশ সদস্যের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে তার কথিত প্রেমিকা। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে নড়াইলের একটি আবাসিক হোটেলে অন্তরঙ্গের এক পর্যায়ে ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল ইসলাম যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য বজলুর রহমানের ছেলে।

ইমদাদুল ইসলামের দাবি, প্রথম স্ত্রী আফরিন সুলতানা মিম একটি ছেলে নিয়ে যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। বেশ কিছুদিন আগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নড়াইলের ডলি খাতুনের সাথে তালাক হওয়ার পরও গতকাল মঙ্গলবার বিকালে দেখা করার জন্য যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে স্টেডিয়াম এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। হোটেলে দুজনে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপনের এক পর্যায়ে ডলির সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইমদাদুল এরই মধ্যে ভেনেটি ব্যাগ থেকে চাকু বের করে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন ওই নারী। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল আব্দুস সামাদ জানান, ইমদাদুল হকের বিশেষাঙ্গের বেশিরভাগই কেটে গেছে। সেলাই করা হয়েছে। তবে অঙ্গটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

ইমদাদুল ইসলামে প্রথম স্ত্রী আফরিন সুলতানা মিম বলেছেন, স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নড়াইলে ডেকে নিয়ে গেছে তার কথিত প্রেমিকা ডলি। সেখানে নিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে।

যশোর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইমদাদুল ইসলাম যশোর পুলিশ লাইনসে নায়েক পদে চাকরি করেন। কিন্তু বিভিন্ন ধরণের কর্মকাণ্ডে বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। এরইমধ্যে নড়াইলে একটি নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে ইমদাদুল ইসলাম। ওই নারীকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ে না করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এজন্য প্রলোভন দেখিয়ে নড়াইলে নিয়ে যায়। আর সেখানেই তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad