জন্মলগ্ন থেকেই তারা এয়ারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দূর্ঘটনার ইতিহাস

বিশেষ প্রতিনিধি 

ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান,তারা এয়ার প্রা. লিমিটেড স্থাপিত হয় ২০০৯ সালে। আর তার পরের বছর থেকেই এই বিমান কোম্পানীর সঙ্গে দূর্ঘটনা জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানটি তার নবতম সংযোজন। এখন পর্যন্ত মোট ৯ টি দূর্ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে। তার মধ্যে ২০১২ ও ২০১৬ সালে দুটি বিমান সম্পূর্ণভাবে মাঝ আকাশে ভেঙ্গে পড়ে, মারা যান সমস্ত যাত্রী, ক্রু। 

প্রথম দূর্ঘটনা ২৬ মে, ২০১০। একটি DHC-6 টুইন অটার ১৮ জন যাত্রী এবং ৩ জন ক্রু নিয়ে সুরখেতের বীরেন্দ্রনগর বিমানবন্দর থেকে রারার তালচা বিমানবন্দরের দিকে যাত্রা করে। সকাল ১০ টায় বিমানটিকে বীরেন্দ্রনগর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল জানা গিয়েছিল, টেক অফের পাঁচ মিনিট পরে হঠাৎ কেবিনের দরজা খুলে যায়।

পরের দূর্ঘটনা ১৫ ডিসেম্বর, ২০১০। একটি DHC-6 টুইন অটার নেপালের লামিডান্ডা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়; এটি কাঠমান্ডু যাচ্ছিল। বিমানের ১৯ যাত্রী এবং ৩ ফ্লাইট ক্রু নিহত হয়। 

এরপর ২৩ জুন, ২০১১। নেপালের সিমিকোট বিমানবন্দরে Tara Air Dornier 228 অবতরণ করার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷ বিমানটি নেপালগঞ্জ বিমানবন্দর থেকে আসছিল। 

১৪ মে, ২০১২ অগ্নি এয়ার অপারেটিং ফ্লাইট সিএইচটি-এর একটি ডর্নিয়ার 228 যাত্রীবাহী বিমান, নেপালের জোমসম বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়, এতে উভয় পাইলট সহ ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। 

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২। ওই একই বছর আবার দূর্ঘটনা। ডলপা থেকে নেপালগঞ্জ যাওয়ার পথে একটি DHC-6 টুইন অটার টেকঅফের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন পাইলট দিকনির্দেশনামূলক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

 ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ তারা এয়ার ফ্লাইট 193 পোখরা-জোমসোম যাওয়ার সময় উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই নিখোঁজ হয়। পরে দেখা যায় যে বিমানটি পার্বত্য উত্তরাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়ে ২ শিশু এবং ৩ জন ক্রু সদস্য সহ ২৩ জন নিহত হয়। 

২২ এপ্রিল, ২০১৯ একটি Tara Air Dornier 228 বিমান রামেছাপ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লুকলা বিমানবন্দরের ফ্লাইটটি রামেছাপ বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করা হয়। সমস্ত ক্রু এবং যাত্রীরা বিমানটিকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। 

১ ডিসেম্বর, ২০২১ একটি Tara Air Dornier 228 বিমানের বাজুরা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি টায়ার ফেটে গিয়েছিল৷ যদিও কেউ আহত হয়নি। 

২৯ মে, ২০২২ তারা এয়ার ফ্লাইট 197 পোখরা বিমানবন্দর থেকে টেকঅফের ১২ মিনিট পরে ATC এর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। ধ্বংসাবশেষ ২০ ঘন্টা পরে মুস্তাং জেলার একটি পাহাড়ের পাশে পাওয়া গেছে; ২২ জন যাত্রীর কেউ বেঁচে নেই।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad