তারা এয়ার দূর্ঘটনাঃ মহারাষ্ট্রের এক পরিবারের বাবা মা ছেলে ও মেয়ে সহ ৪ জন নিহত। বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল বাবা-মায়ের

বৈভবী ও তার দুই সন্তানঃ পুরানো ফাইল থেকে 

মুম্বাইঃ নেপালের তারা এয়ারলাইন্সের বিমানের নিহতদের মধ্যে ছিলেন মহারাষ্ট্রের থানে থেকে এক পরিবারের চারজন। সবাই নেপালের পোখারায় একটি মন্দির দেখতে যাচ্ছিলেন। নেপালে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে যে থানে থেকে অশোক ত্রিপাঠি (৫৪), তার স্ত্রী বৈভবী বন্দেকর-ত্রিপাঠি (৫১), ছেলে ধানুশ ত্রিপাঠি (২২) এবং মেয়ে ঋত্বিকা ত্রিপাঠি (১৮) এই বিমানে ছিলেন। আর কিছুদিন পরেই অশোক ত্রিপাঠী তার স্ত্রী বৈভাবীর বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টা বিচারাধীন ছিল। ছেলে ধানুষ ও মেয়ে ঋত্বিকা মায়ের সঙ্গেই থাকতো। রায় না হওয়া পর্যন্ত পুরো পরিবারকে বছরে ১০ দিন একসঙ্গে কাটাতে বলেছে আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় চারজনই নেপালে চলে যান। অশোকের সঙ্গে তার এক মামাতো ভাইএর যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেন তিনি।

অশোক 

বৈভাবী মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত একটি বেসরকারী কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। ছেলে ধানুশ ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক এবং মেয়ে রিতিকা স্কুলে পড়ে। অশোকের ওডিশায় একটি এইচআর কনসালটেন্সি ফার্ম রয়েছে। অশোকের বাবা জেলা জজ ছিলেন। তিনি ১১ বছর আগে মারা গেছেন। তার মাও ২০২০ সালে মারা যান। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তার পরিবারের বাকি সদস্যরা পুনেতে থাকেন। বৈভাবীর মা বাড়িতে একাই ছিলেন। কয়েকদিন আগে বৈভাবীর মায়ের অপারেশন হয়েছিল। 


 দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গভীর রাতে থানে পৌঁছায় অশোকের পুরো পরিবার। অশোকের মামাতো ভাই কানন ত্রিপাঠি বলেন, 'অশোক আমার সঙ্গে নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এতে তিনি খুব খুশি ছিলেন। যাইহোক, কিছু আমার জন্য কাজ করেছে এবং আমি পরিকল্পনাটি বাতিল করেছি।“ অশোক ২৬ মে মুম্বাই এসেছিলেন এবং এই পরিবারটি এখান থেকে নেপালে চলে গিয়েছিল। অশোকের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, 'স্যার (অশোক) যেদিন মুম্বাই চলে গেলেন, কবে ফিরবেন তা জানাননি। তিনি আমাকে শুধু বাড়ির যত্ন নিতে বলেছেন। 

বহুকষ্টে, মুম্বাই পুলিশ এই থানে পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পায়। এই তথ্য বৈভাবীর মায়ের কাছে পেতে পুলিশকে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে। তার পাসপোর্টে বোরিভালির চিকুওয়াড়ি এলাকার ঠিকানা লেখা ছিল। মুম্বাই পুলিশ সেখানে পৌঁছালে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায় যে পরিবারটি থানে চলে গেছে। এরপর পুলিশ সেখানে অবস্থানরত তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন ঠিকানা খুঁজে পায়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad