কাঠমুন্ডুঃ নেপালের লুম্বিনিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের সম্পর্ককে হিমালয়ের মতো দৃঢ় ও উচ্চ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, উভয় দেশের নাগরিকরা একে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তিনি বলেন- 'আমরা হাজার বছর ধরে এই সম্পর্কগুলো নিয়ে বেঁচে আছি। আমি সন্তুষ্ট যে ভারত নেপালের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। মায়া দেবী মন্দির দেখার সুযোগটাও আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। ভগবান বুদ্ধ যে স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই স্থানের চেতনা আশ্চর্যজনক। ২০১৪ সালে রোপিত চারাটি এখন গাছে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন- 'নেপাল আমাকে তার আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ দিয়েছে। নেপাল ছাড়া আমাদের রামও অসম্পূর্ণ। আজ অযোধ্যায় রামজির মন্দির তৈরি হচ্ছে, তাই নেপালের মানুষও আমাদের নিয়ে খুশি। নেপাল একটি সাংস্কৃতিক এবং সমুদ্র-প্রধান দেশ। হাজার বছর ধরে নেপালকে এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। ভারতেরও তাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। ভারত ও নেপালে বহু শতাব্দী আগে থেকেই বৌদ্ধ শিক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে অবশিষ্টাংশ আছে. ভারতের বিশেষত্ব। আমার ঘনিষ্ঠতা সবসময় কাশীর কাছে সারনাথে ছিল। নেপালের সাথে আমাদের ঐতিহ্য ভাগাভাগি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন- 'আজকের পরিস্থিতিতে ভারত-নেপালের বন্ধুত্ব সমগ্র মানবজাতিকে সাহায্য করবে। জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি রয়েছে গবেষণা। বুদ্ধ চিন্তাও আছে। বুদ্ধ মানবতাকে জ্ঞানার্জনের অভিজ্ঞতা দিয়েছেন। সাহস দিলেন। তিনি সাধারণ শিশু হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি।
তিনি বলেন, অর্জনের চেয়ে ত্যাগই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য তিনি বন-জঙ্গলে গবেষণা করেন এবং তপস্যা করেন। তিনি মানুষকে সাহায্য করার দাবি করেননি, কিন্তু পথ দেখানোর জন্য তিনি নিজেই বেঁচে ছিলেন।