হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদ পুলিশের পদস্থ অফিসারদের দাবি, তারা জুবিলি হিলসে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে যাতে তাদের ২০ বছরের জেল হতে পারে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
তারা আরো বলেন, অভিযুক্তদের ওই মেয়েটির চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের খরচ বহন করতে হবে।
তদন্তকারী দল পরিত্যক্ত ইনোভা গাড়ির ভিতরে এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছে যাতে প্রমান করা সহজ হবে ওটিতে 'সরকারি যান' স্টিকার লাগানো ছিল এবং তা ধর্ষণের অনেক আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এক পুলিশ অফিসার জানান, “মামলার সর্বশেষ আসামি শুধুমাত্র মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন এবং যৌন নিপীড়নে জড়িত ছিলেন, তবে গণধর্ষণে নয়। তাকে ন্যূনতম ৫ থেকে ৭বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারে।”
পরিত্যক্ত ইনোভা, যেটি রাজনৈতিক পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ার নামে নিবন্ধিত, সেটিকে মইনাবাদের একটি খামারবাড়িতে পাওয়া গেছে। তদন্তকারী দল দ্বারা গাড়ি পরীক্ষা করার সময়, ‘বীর্যের মতো পদার্থ’, লম্বা চুলের স্ট্র্যান্ড এবং অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করেছিল। মার্সিডিজের পরীক্ষায় ক্লুস দলকে লম্বা চুলের স্ট্র্যান্ড, একজন মহিলার জুতা, বেশ কিছু মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং শাটলকক পাওয়া গিয়েছে। তারা উভয় গাড়ির আঙুলের ছাপও সংগ্রহ করেছে। সংগ্রহ করা এই নমুনাগুলি আরও বিশ্লেষণের জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। পদস্থ অফিসারেরা নিশ্চিত করেছেন যে যেহেতু অপ্রাপ্তবয়স্করা গাড়ি চালাচ্ছিল, তাই তাদের বাবা-মাকে এমভি অ্যাক্টের নিয়মে মামলা করা হতে পারে। তারা নাবালকদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে হতে পারে।