ঢাকাঃ উজিরপুরে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র দীপ্ত মণ্ডল (৮) এর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কাজীবাড়ি গ্রামের দীপক মণ্ডলের ছেলে দীপ্ত। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাজীবাড়ি গ্রামের সেলুন মালিক রতন বিশ্বাস, তাঁর স্ত্রী ইভা ও কর্মচারী নয়ন শীলকে আটক করেছে পুলিস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় দীপ্ত। এতে প্রতিবেশী রতন বিশ্বাস ও তাঁর সেলুন কর্মচারী নয়নকে সন্দেহ করেন স্বজন ও স্থানীয়রা। সোমবার রাতে দীপ্তকে উদ্ধারের জন্য সভা করে স্থানীয়রা। নয়ন সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ ও কৃষ্ণকান্ত বাড়ৈ নয়নকে নজরে রাখতে কয়েকজনকে বলে রাখেন। কিছুক্ষণ পর নয়ন সেলুনে গিয়ে মেঝেতে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করা শুরু করলে স্থানীয়রা তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি দীপ্তকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রতন ও তাঁর স্ত্রী ইভাকে ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে তিনজনকে নিয়ে গতকাল ভোর সাড়ে ৫ টায় হারতা বাজারের পাশের খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় দীপ্তর মরদেহ উদ্ধার করে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি আলী আর্শাদ জানান, দীপ্ত নিখোঁজের বিষয়ে তার বাবা দীপক মণ্ডল শনিবার রাতে মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এ ঘটনায় রতন বিশ্বাস, তাঁর স্ত্রী ইভা এবং নয়ন শীলকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না বা কী কারণে হত্যাকাণ্ড, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। জেলা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাজাহান জানান, আটক তিনজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. আখতারুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে শিশুটির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।