এই ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলাইয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাজুরিয়া থানার কুরওয়াই গ্রামের বাসিন্দা সোনম ডাঙ্গি বৃহস্পতিবার তার মামার গ্রাম পাদারিয়া যাচ্ছিলেন। তার যাবার পথে পড়ে বেতওয়া নদীর সেতু। তিনি সেতু পার হচ্ছিলেন বাইকে চড়ে। রাত ১১টা নাগাদ বেতওয়া নদীর বারিঘাট সেতুর পিলারে লাগানো লোহার রডের মাঝে মোটরসাইকেলটি আটকে যায়। আর ওই মহিলা পড়ে যান নিচের খরস্রোতা নদীতে। পরে মোটরসাইকেলটি সেতু থেকে পিছলে গিয়ে বেতওয়া নদীতে পড়ে যায় এবং ভেসে যায়।
খবর পেয়ে রাত ২টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হলেও বেতওয়া নদীতে বন্যা ও অতিরিক্ত স্রোতের কারণে উদ্ধারকারী নৌকাটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।
এর পর ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ পঞ্চম বারের চেষ্টায় নৌকা নিয়ে পাঁচ জন সাঁতারু সেখানে পৌঁছয়। লাইফ জ্যাকেট পরে সেখান থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হলে প্রবল স্রোতের কারণে মোটর বোটটি উল্টে যায়। ফলে, ৫ জওয়ান ও মহিলা সকলেই নদীতে ভেসে যান। যেহেতু জওয়ানরা সকলেই সাঁতারু ছিলেন এবং লাইফ জ্যাকেট পরেছিলেন, তাই তারা প্রায় এক কিলোমিটার ভেসে তাহাকার পর সাঁতরে নিরাপদে ফিরে এসেছিলেন। আর লাইফ জ্যাকেট পরিহিত ওই মহিলা একটি পুরু কাঠের সাহায্যে নদীতে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রাজখেদা গ্রামে পৌঁছেছিলেন।
রাজখেদার স্থানীয়রা দেখেন, নদীর পাড়ে একটি গাছ ধরে রয়েছেন ওই মহিলা। তারপর টিউবের মাধ্যমে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়।

