বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুন বলেন, তার (ফারদিন) স্পেন যাওয়ার কথা ছিল, টাকা ম্যানেজ হয়নি। তার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিল। সবকিছু মিলেই মনে হয়েছে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এসব কারণে ফারদিনের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। চারটা টিউশন করিয়ে সেই টাকা দিয়ে নিজের ও ছোট ২ ভাইয়ের পড়াশুনার ব্যয় চালাত এই বুয়েট শিক্ষার্থী।
এছাড়া ফারদিনের ওপর পরিবার থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার শাসন ছিল। বুয়েটের হলে না থাকার বারণ ছিল। এসব বিষয়ে চাপের মধ্যে ছিল ফারদিন, যেটা সে মানতে পারত না।
ইফফাত জাহান মুমু নামে ফারদিনের এক বান্ধবীর কথা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মুমুর সঙ্গে ফারদিনের মেসেঞ্জার এবং টেলিগ্রামে অনেক কথোপকথন রয়েছে। ফারদিন মুমকে বহুবার তার হতাশার কথা জানিয়েছে।
মুমুর ভাষ্যমতে, সবমিলিয়ে ফারদিন হতাশাগ্রস্থ ছিল। সেই কারণেও আত্নহত্যা করতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।