ইউক্রেনীয় জরুরি পরিষেবা টেলিগ্রামে বলেছে, রাশিয়ান হামলার ফলে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জরুরী ব্ল্যাকআউট শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র ওলেক্সান্ডার খোরুনঝি বলেন, এই ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জন নাগরিকের, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুত-ব্যবস্থা।
চারটি শহরে পাওয়ার গ্রিড অবকাঠামোর ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে এবং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে মেরামত চলছে।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি কিয়েভে ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে সম্মত হওয়ার একদিন পরে এই হামলা হয়। কানাডাও নিশ্চিত করেছে যে তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর কাছে চারটি লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠাবে। বৃহস্পতিবার সকালে হামলার সময় ১১ জন নিহত হন ও ৫৫টি রকেটের মধ্যে ৪৭টি গুলি করে ধ্বংস করা হয়।
অতীতের হামলার মতোই, রাশিয়ান স্ট্রাইক পরিকল্পনাকারীরা ইরান-তৈরি শাহেদ ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালায়। মস্কো ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাগুলি সন্ধান করতে এবং আক্রমণ করতে ধীর গতির, পুশ-প্রপেলার বিমান ব্যবহার করে।
ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের একটি বিবৃতি অনুসারে, বুধবার-বৃহস্পতিবার রাতে অন্তত ২৪ টি শাহেদ, যেগুলি পুট-পুট ইঞ্জিন শব্দের জন্য "ফ্লাইং মোপেড" নামে পরিচিত, তাদের গুলি করে নামানো কিয়েভ শহরের প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৫ টিকে কিয়েভের আকাশে ধ্বংস করা হয়।
জানা যায়, সকাল ৭ টা নাগাদ সারা দেশে বিমান হামলার অ্যালার্ম শুরু করে। ওডেসার আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কমান্ডের প্রধান ম্যাকসিম মার্চেনকো বলেছেন, কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ট্রুখা ইউক্রেনার নিউজ চ্যানেল বলেছে, রাশিয়ার বেলগোরোড ওব্লাস্ট থেকে রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। একটি রাশিয়ান ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণ জেলায় একটি নির্মাণ সাইটে আঘাত হানায় ৫৫ বছর বয়সী একজন নিহত হন এবং দুইজন আহত হন।
UNIAN নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়ায় ভোরে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিনজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন
ট্রুখা ইউক্রেনার নিউজ চ্যানেল বলেছে, রাশিয়ার বেলগোরোড ওব্লাস্ট থেকে রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্য করে একটি দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।