সৌভিক কলকাতা পুলিশের এন এস পি।
গতকাল মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আচমকাই সৌভিক চক্রবর্তীর চোখ পড়ে স্কুল ইউনিফর্ম পরিহিতা এক ছাত্রীর দিকে। সে কাদছে আর সকলের কাছে অনুরোধ করছে, তাকে তার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছে দেওয়ার জন্য।
কেউ তার কথা শুনছে, কিন্তু সাহাজ্যের জন্য এগিয়ে আসছে না। চারিদিকে একটা ভিড় জমে গেছে। অনেকে মজা দেখছে। সৌভিক চক্রবর্তী এগিয়ে গেলেন সেদিকে। তারপর কান্নারত মেয়েটির কাছে জানতে চাইলেন বিষয়টা। শুনলেন, সে এ বছরের এক মাধ্যমিক ছাত্রী। শ্রীজৈন
বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ে।
শনিবার
তার দাদুর শেষকৃত্য
হচ্ছে। আর সেই কারণে সেখানে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যেরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে না
পারায় তাই চিন্তিত সে। সে জানায় তার পরীক্ষার সিট পড়েছে
শ্যামবাজারে আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে।তার দেরি হয়ে গেছে। যানবাহন পাচ্ছে না। এখানে থেকে তার পরীক্ষা-কেন্দ্রে পৌছাতে না পারলে, নষ্ট হয়ে যাবে এই বছরটা।
সৌভিক চক্রবর্তী আর এক মুহুর্তও দেরি না করে যোগাযোগ করলেন টিসিআর এ। আরটিতে বললেন ইমিডিয়েট পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যন্ত গ্রীন করিডর সেট করতে। গ্রীন করিডর সেট হতেই ওই ছাত্রঈকে গাড়িতে তুলে রওনা দিলেন পরীক্ষা-কেন্দ্রের দিকে।
সৌভিক চক্রবর্তীর মতো কলকাতা পুলিশের কর্মীদের জন্য ওই ছাত্রী শেষ পর্যন্ত তার নির্দিষ্ট পরীক্ষা দিতে পারল। পুলিশের এই ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবার সহ সমস্ত সাধারণ মানুষ।