অভিযুক্ত যশোর সদর উপজেলার ৬নং কাশিমপুর ইউনিয়নের ডহেরপাড়া গ্রামের শহরআলী মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) রাতে পুত্র বধু বাদি হয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ ধর্ষক আজাদ মোল্যাকে গ্রেফতার করে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।
পুত্রবধু মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী আলামিন হোসেন (২৬) বিদেশ দুবাই থাকেন। সে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে হতে আমাদের উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর তাদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ায় বিগত ৮ মাস পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পূত্র বধু শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
আসামী আজাদ মোল্যা বাদির শশুর। তার দেবর আলফাজ হোসেন বিদেশ যাওয়ার জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারী বাড়ি হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। বধু শ্বাশুরী মোছাঃ সখিনা বেগম তার ছেলেকে এয়ারপোর্টে পৌছে দেওয়ার জন্য ছেলের সাথে ঢাকায় যায়। ৩ ফেব্রুয়ারী রাত অনুমান ৯ টা ২০ মিনিটে গৃহবধূ ও শ্বশুর রাতের খাওয়া দাওয়া করে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়ে।
বসত বাড়িটি নবনির্মিত হওয়ায় বসত ঘরের কোন দরজা না থাকায় পুত্রবধু তার শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।
দিবাগত গভীর রাত ৪ ফেব্রুয়ারী অনুমান দেড়টার পুত্রবধু ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শ্বশুর পুত্রবধুর শয়ন কক্ষে খাটের পর পুত্রবধুকে জাপটে ধরে। পুত্রবধু ডাক চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে আজাদ মোল্যা মুখ চেপে ধরে চিৎকার দিলে খুন করে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এরপর আজাদ মোল্যা ঘটনার বিষয় কাউকে কিছু না বলার জন্য পুত্রবধুকে হুমকী ধামকী প্রদান অব্যাহত রাখাসহ বসত বাড়ির ক্লপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে পুত্রবধুকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে।
পরবর্তীতে কোন উপায়ূন্তর না পেয়ে ৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮ টায় পুত্রবধু বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ঘর হতে বের হয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শ্বাশুড়ী, নানা শ্বশুর, নানী শাশুড়ীসহ অন্যান্য নিকটতম আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি জানিয়ে থানায় এসে মামলা করেন।
পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে লম্পট শ্বশুর আজাদ মোল্যাকে গ্রেফতার করে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) আদালতে সোপর্দ করে। পুত্রবধুর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।