হায়দরাবাদে এক সপ্তাহে তৃতীয় নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা: তবে গ্রেফতার প্রায় সব অভিযুক্তই

হায়দরাবাদঃ তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ফলে, রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার এক নাবালিকা মেয়ের মায়ের কাছ থেকে তারা একটি অভিযোগ পায় যে ৩০ মে রাত ১১.৩০ নাগাদ, নির্যাতিতা তার কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার জন্য চারমিনারের একটি বাসস্টপে যায়। অভিযোগ, মোহাম্মদ সুফিয়ান নামে এক ব্যাক্তি ওই ১৭ বছর বয়সী মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়, সেখানে রাতে তার সঙ্গে দু’বার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় মোহাম্মদ সুফিয়ান। অভিযোগে বলা হয়, পরদিন অভিযুক্ত মোহাম্মদ সুফিয়ান নির্যাতিতা তরুণীকে তার কর্মস্থলে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে মেয়েটি তার মায়ের কাছে প্রচণ্ড পেটে ব্যথার অভিযোগ করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। 

পুলিস জানায়, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ২১ বছর বয়সী মহম্মদ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে কালাপাথার থানায় 363, 376 (2) আইপিসি এবং পকসো আইনের 5 এবং 6 ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, রবিবারই প্রকাশ্যে এসেছে আর একটি ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের ঘটনা। ঘটনাটি পুরান শহরের মুঘলপুরা থানা এলাকার, তবে ঘটনা ঘটার চার দিন পর বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। নাবালিকাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পুলিশ এক ক্যাব চালককে গ্রেফতার করেছে। সুলতান শাহী এলাকার এক ক্যাব চালক মেয়েটিকে লিফট দিয়ে অপহরণ করে। সে তাকে হায়দ্রাবাদের উপকণ্ঠে রাঙ্গারেডি জেলার কনডুর্গ এলাকায় নিয়ে যায়। পরের দিন ড্রাইভার নির্যাতিতাকে তার বাড়ির কাছে ফেলে পালিয়ে যায়। 

জুবিলি হিলস ঃ গ্রেফতার ৪ অভিযুক্ত 

 জুবিলি হিলস এলাকায় একটি গাড়িতে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পঞ্চম জনের খোঁজ চলছে। ডিসিপি বলেছেন যে ৫ অভিযুক্তের মধ্যে একজন প্রধান অভিযুক্ত এবং ৩ জন কিশোরকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad