বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে, কেন মৃত্যু ঘটলো ভক্তদের ? তদন্তের নির্দেশ যোগী সরকারের
1:20:00 PM
0
নিজস্ব প্রতিনিধি,নতুন দিল্লিঃ জন্মাষ্টমীর রাতে মথুরার বাঁকে বিহারী মন্দিরে মঙ্গলারতির সময় এক মহিলা ও এক পুরুষ ভক্তের মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছিল, প্রচন্ড ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দমবন্ধ হয়ে ওই মহিলা ও পুরুষ ভক্তের মৃত্যু হয়েছিল
কিন্তু, সেদিন রাতে ঠিক কী হয়েছিল, কার ভুলে ভক্তদের প্রাণ গেলো, কীভাবে দমবন্ধ হয়ে কয়েকশো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লেন সে ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ১৫ দিনের মধ্যে প্রাক্তন ডিজিপি সুলখান সিং-এর নেতৃত্বাধীন কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে যোগী সরকারের কাছে।
জানা গেছে, আলিগড়ের বিভাগীয় কমিশনার গৌরব দয়াল এই কমিটির সদস্য হবেন। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব স্বরাষ্ট্র অবনীশ অবস্থি এই নির্দেশ জারি করে জানিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, কীভাবে মন্দির চত্বরে ব্যবস্থার উন্নতি করা যায়। তদন্ত করে দেখা হবে। ১৫ দিনের মধ্যে পুরো ঘটনার তদন্ত শেষ করে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাত ১টা ৫৫ মিনিটে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর মঙ্গলা আরতির সময় বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভিড়ের প্রচণ্ড চাপ ছিল। পরিস্থিতি এমনই হয়ে ওঠে যে, মানুষের দম বন্ধ হতে শুরু করে। বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। অনেকেই গেট লক্ষ্য করে এগোবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভিড়ের প্রবল চাপে, তারা এগোতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকেই শ্বাসকষ্টে অজ্ঞান হয়ে যান। এই সময়, দমবন্ধ হয়ে নয়ডা সেক্টর ৯৯-এর বাসিন্দা দেব প্রকাশ এবং রুকমণি বিহারের বাসিন্দা রাম প্রসাদ বিশ্বকর্মার স্ত্রী নির্মলা দেবী মারা যান। মৃত দু'জনের পরিবার ময়না-তদন্তের জন্য রাজি না হওয়ায় দেহ সঙ্গে নিয়ে যায়। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মন্দিরে দুর্ঘটনার সময় ডিএম, এসএসপি, মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল। দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা মন্দির থেকে অচৈতন্য ভক্তদের সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন। আহত তীর্থযাত্রীদের বৃন্দাবনের রাম কৃষ্ণ মিশন, ব্রজ হেলথ কেয়ার এবং ১০০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হয়।