তিনি বলেন, "আমরা যখন স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা বলি, তখন আমরা উপজাতীয় সম্প্রদায়কে ভুলতে পারি না। ভগবান বিরসা মুন্ডা, সিধু-কানহু, আল্লুরি সীতারাম রাজু, গোবিন্দ গুরু - এমন অসংখ্য নাম রয়েছে যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে এবং উপজাতি সম্প্রদায়কে মাতৃভূমির জন্য বেঁচে থাকতে ও মরতে অনুপ্রাণিত করে।" তিনি বলেন, এক নতুন বড় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ১৩০ কোটি দেশবাসীর মধ্যে চাই একতা। এই একতাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।"
এর আগে তিনি বলেন, " ২০১৪ সালে, দেশের নাগরিকরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল লালকেল্লা থেকে এই দেশের নাগরিকদের প্রশংসা করার সুযোগ। আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি তখন অনেকে আমাদের উন্নয়নের গতিপথ নিয়ে সন্দেহ করেছিল। কিন্তু, তারা জানত না যে এই দেশের মানুষের মধ্যে আলাদা কিছু আছে। তারা জানত না যে এই মাটি বিশেষ কিছু।"
লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "ভারতের জনগণ ইতিবাচক পরিবর্তন চায় এবং এতে অবদান রাখতে চায়। প্রতিটি সরকারকেই তাদের এই আকাঙ্ক্ষার সমাধান করতে হবে। আগামী বছরগুলিতে, আমাদের 'পঞ্চপ্রাণ'-এর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে - প্রথমত, উন্নত ভারতের বৃহত্তর সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে; দ্বিতীয়ত, দাসত্বের সমস্ত চিহ্ন ধুয়ে ফেলতে হবে; তৃতীয়ত, আমাদের উত্তরাধিকার নিয়ে গর্বিত হতে হবে; চতুর্থত, ঐক্যের শক্তি এবং পঞ্চম, নাগরিকদের কর্তব্য, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরাও রয়েছেন।" প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারতকে সবার আগে রাখতে হবে, এর ফলে অখণ্ড ভারতের পথ প্রশস্ত হবে। প্রতিটি ভারতবাসী গর্ববোধ করেন, যখন তারা ভারতের মহিলাদের শক্তির কথা স্মরণ করনে - তা সে রানী লক্ষ্মীবাঈ, ঝালকারি বাঈ, চেন্নাম্মা বা বেগম হযরত মহল ই হোক না কেন।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান অউর জয় অনুসন্ধন হবে। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত কোনও সরকারি অ্যাজেন্ডা বা কর্মসূচি নয়, এটা গণআন্দোলন।

