ইংলিশ চ্যানেলের নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রইল ট্রেন যাত্রীরা
8/25/2022 08:47:00 AM
0
ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ ঠিক যেন হলিউডের ডিসাস্টার মুভির দৃশ্য। ৩১.৫ মাইল দীর্ঘ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪৬ ফুট নীচে, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে চ্যানেল টানেল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রের নীচের সুড়ঙ্গের মধ্যে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আটকে থাকার পর টানেল দিয়ে হাটতে শুরু করেন মেট্রোর যাত্রীরা। দেখে মনে হচ্ছিল যেন হলিউডের কোনো ভয়ঙ্কর ডিসাস্টার সিনেমার দৃশ্য। পিএ মিডিয়া এজেন্সির মতে, এই ঘটনা ঘটে কালাইস থেকে ফোকেস্টোন পর্যন্ত যাওয়া বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের ট্রেনে। এই দূরত্ব যেতে ট্রেনটি সাধারণত ৩৫ মিনিট সময় নেয়। ট্রেনের এক যাত্রী মাইকেল হ্যারিসন পিএ-কে বলেন, আচমকা ট্রেনের আলো নিভেে যায় এবং ট্রেনটি থেমে যায়। আমরা তখন ইংলিশ চ্যানেলের নীচে, সুড়ঙ্গের মধ্যে। সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আমরা বুঝতে পারছিনা কী ঘটেছে। তবে কী আতঙ্কবাদী হামলা? হঠাত আমাদের বলা হল, ট্রেনের চাকায় সমস্যা, তদন্ত করা দরকার।
হ্যারিসন বলেন, তাদের তদন্ত করতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগেছিল এবং স্পষ্টতই কিছু খুঁজে পায়নি।। এরপর আমাদের বলা হয় ট্রেন খালি করতে হবে। সিএনএন জানিয়েছে, হ্যারিসনে বলেন, যাত্রীদের একটি জরুরি লিংক টানেলের মাধ্যমে তাদের বের করে আনা হয়। সেই টানেলের মধ্য দিয়ে তারা ১০ মিনিট হেঁটে অন্য একটি ট্রেনে পৌঁছায়। দ্বিতীয় ট্রেনে আরও সমস্যা দেখা দেওয়ার পরে যাত্রীরা প্রায় ছয় ঘন্টা পরে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে পৌঁছান।
জানা গেছে, তাদের একটি কার্গো ট্রেনে স্থানান্তর করা হয়েছিল কিন্তু তারা প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে সমুদ্রের নীচে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকেয়াটকে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। জাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। ঠিক কী ঘটেছে, তাদের সেটাও জানানো হয়নি।
হ্যারিসন জানান, অবশেষে আমরা বোর্ডিংয়ের ছয় ঘন্টা পরে ফোকেস্টোনে পৌঁছেছি। আরেকজন যাত্রী বলেন, "সার্ভিস টানেলে নেমে আসার পর বেশ কিছু লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল, এটা একটা অদ্ভুত জায়গা। তিনি বলেন, 'আমরা অন্তত পাঁচ ঘণ্টা আটকে ছিলাম। ছয় ঘন্টা বা তারও বেশি সময় ধরে আমরা কিছু খাইনি এবং এখানে আমাদের জন্য কিছুই ছিল না।
Tags