Breaking News

6/trending/recent
সংবাদ ভয়েস ৯ বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও অনাবাসী বাঙ্গালীদের প্রিয় নিউজ পোর্টাল হোয়াটসঅ্যাপ +৯১-৮৯২৭০৪২৫৯৪ সম্পাদক : তারক ঘোষ

Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

অবশেষে গ্রেপ্তার অনুব্রত

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ গ্রেপ্তার অনুব্রত মন্ডল। তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য। বার বার তিনি সিবিআই এর হাজিরা এড়িয়েছেন। সিবিআই ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছিল কিংবা অপেক্ষা করছিল, অনুব্রত যাতে নিজেই নিজের পাতা ফাঁদে পা দেয়। কারণ সমস্ত বিষয়টাই যাবে তার বিরুদ্ধে। গরু-পাচার মামলায় অসযোগিতা। আর তাই হলো। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রিয় বাহিনী হানা দিল বীরভূমে অনুব্রতর বাড়িতে। গতকাল তিনি সিবিআই এর দশম ডাকেও হাজিরা না দেওয়ায় একটা আশঙ্কা ছিল। তবু তিনি মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে দেখাতে চেয়েছিলেন অসুস্থতার কারণ, উপস্থিত থাকতে পারছেন না। কিন্তু, যে ডাক্তারকে দিয়ে সেই রিপর্ট লেখানো হয়েছিল, তিনি মিডিয়ার কাছে সমস্ত বিষয়টি তুলে ধরেন। আজ সকালে বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌছে গেল সিবিআই। সঙ্গে এক বিশাল সি আই এস এফ বাহিনী। ১০-১২টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই আধিকরা আজ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েয় হাজির হন অনুব্রতর বাড়িতে। কিন্তু সঙ্গে নিয়ে যান সি আই এস এফ এর বিরাট বাহিনী। তারা নিমেষে ঘিরে ফেলে অনুব্রতর বাড়ি। স্বভাবতইঃ এক্ষেত্রে দুটি প্রশ্ন উঠে আসছে। সিবিআই তাকে এখানে জেরার করার পাশাপাশি তার বাড়িতে তল্লাসী চালাতে পারে। আর সেরকম কিছুর হদিশ পেলে তাকে গ্রেপ্তারের আশংকাটাও উড়িয়ে দেওয়া জাচ্ছে না। সূত্রে জানা গিয়েছে, নানানজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও কেষ্ট’র দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকেরা হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছেন যে গরু পাচারকারী ও কয়লাপাচারকারীদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। তাই এদিন জেরায় সেই সব কথা যদি তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা স্বীকার না করেন বা জেরার সময় যদি অসহযোগিতা করেন তাহলে এদিন যে কোনও মুহুর্তে গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ১৫-১৬জন আধিকারিক হানা দিয়েছেন। এই মুহুর্তে অনুব্রতর বাড়ির প্রতিটি ঘর তন্ন তন্ন করে তল্ল্যাসী করছে সিবিআই এর আধিকারিকরা। কারোন, এখানে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নথি তাকে গ্রেপ্তার করার পক্ষে সহায়ক হবে। এস এস কে এম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি না করতে চাওয়ায় বোঝা গিয়েছিল, এই মুহুর্তে ডাতারদের উপর উপরতলার কোনো 'চাপ' নেই। সেটা অনুব্রত ধারণা করেছিলেন কি? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে এলাকায়। এলাকবাসীদের মধ্যে একটা উত্তেজনা দেখা দিলেও, রাস্তায় নামে নি তৃণমূল।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad