তৃণমূল দল কি অনুব্রতর পাশে থাকবে? এই প্রশ্নটাই ঘুরছে অনুব্রতর অনুরাগী মহলে
8/11/2022 11:26:00 AM
0
রজত সেন, কলকাতাঃ পার্থ চ্যাটার্জীর গ্রেপ্তারের পর ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছিল তৃণমূলের বক্তব্য। প্রথমে কুনাল ঘোষ জানিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে আদালতে উপযুক্ত প্রমান পেশ করলেই দল তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তার পরে দল জানিয়ে দেয় পার্থবাবু আর দলের বা রাজ্য প্রশাসনের কোনো পদে থাকছেন না। এক্ষেত্রে, অনুব্রতর ক্ষেত্রে কী হবে। অনুব্রত মন্ডল কোনো মন্ত্রী ছিলেন না ঠিকই, কিন্তু দলের একাধিক পদে তিনি আছেন। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদে থাকলেও কার্যত তিনি রাজ্যের এক হেভিওয়াট নেতা। বহুবার, তিনি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌছেছিলেন তার স্বভাবসিদ্ধ বক্তব্যের জন্য। লোকমুখে প্রচারিত হয়েছে, ইউটিউবে বহু ভিডিও প্রচারিত হয়েছে তার এই বক্তব্যের উপর। 'গুড়-বাতাসা', 'চড়াম-চড়াম' শব্দ-বন্ধগুলো। তবে, অনুব্রতর গ্রেপ্তারের আগে দুটি ঘটনা ঘটে। এস এস কে এম এর তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং তার বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে অফিসিয়ালি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ না করা। এগুলো কী সাধারণ ঘটনা? না কি, এর পিছনে অন্য কোনো ঘটনা ছিল? অনুব্রত কি সেটা বুঝতে পেরেছিলেন? তাই কি অপারেশনের চিন্তা-ভাবনা করছিলেন? এই প্রশ্নগুলো ঘুরছে তার অনুগামী মহলে।
সবচেয়ে বড় কথা, অনুব্রতর মতো হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যায়নি দলের কর্মীদের কোন বিক্ষোভ। তাহলে কি দল, যে সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠবে বা প্রমানিত হবে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবে? এই জন্যই কি স্বয়ং নেত্রী কিংবা অভিষেক বার বার তৃণমূল নেতা-কর্মিদের সতর্ক করছেন? এটা ঠিক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দল তার ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে, কাজেই যাদের বিরুদ্ধে দল কোনো অভিযোগ পাবে, সে ব্যাপারে ক্ঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা দলের পক্ষ থেকে সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী পরিষ্কার করে দিয়েছেন। আর কেউ গ্রপ্তার হলে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইন আইনের পথে চলবে। অর্থাৎ, বক্তব্য পরিষ্কার। যার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠবে, তার নিজের দায়িত্ব বর্তাবে, নিজেকে কলঙ্কমুক্ত করা। এ ক্ষেত্রেও কি তাই হবে? এ ব্যাপারে দলের শীর্ষনেতৃত্বের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।