জানা গেছে, ছবিগুলি আকাশ চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবিটি তোলা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তারপরে আকাশ চৌধুরী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাংলায় লেখা কিছু ক্যাপশন সহ সেগুলি শেয়ার করেছিলেন।
এসজেটিএ সিংহদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, যার ভিত্তিতে পুলিশ শ্রী জগন্নাথ মন্দির আইনের ৩০ (এ) (৪) (সি) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে এবং তাকে আদালতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য,নিরাপত্তার কারণে শ্রীমন্দির চত্বরে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
জনসচেতনতার জন্য সিংদ্বারের কাছে সাইবোর্ডও দেওয়া আছে। সন্দেহ, গর্ভগৃহের ঐ ছবিটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তোলা হয়েছিল। এরপর এসজেটিএ সিংহদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যার ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পবিত্র মন্দিরের গর্ভগৃহের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছিল। এরপর, পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে কড়া তল্লাশি জারি হয়।
জানা গিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা অভিজিত চন্দ্র নামে এক ভক্ত একটি ছবি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন যেটি মূল মন্দিরের ভিতরে ক্লিক করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়েছিল।
এসজেটিএ প্রশাসক (আচার) জিতেন্দ্র সাহু বলেছিলেন, 'অভিজিত চন্দ্র নামে পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা গত ২৭ মে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে 'রত্নবেদী'র একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে বাংলা ভাষায় কিছু ক্যাপশন ছিল। পরে আইটি টিম পোস্টটি পরীক্ষা করে দেখে এবং সিংহদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গেছে, ফেসবুক পোস্টটি ভক্তদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে কারণ মন্দিরের অভ্যন্তরে যে কোনও ধরণের ফটোগ্রাফি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এবারেও সেই একই ঘটনা ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে