ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ এক টুকরো জমি, আর তাই নিয়েই বিবাদ। আর সেই বিবাদের পরিণতিতে খুড়তুতো দাদার মাথা কেটে ফেললো ভাই। কিন্তু, এরপর যে ভয়ঙ্কর ঘটনাটা ঘটলো, সেটা সভ্য সমাজে ঘটে না। উল্লসিত সেই ভাইয়ের বন্ধুরা মোবাইল ফোনে সেই কাটা মাথার সঙ্গে শেলফি তুলল। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের খুন্তি থানার মুরহু এলাকায়।
আর এ ব্যাপারে পুলিশ সেই ‘ভাই’ আমান, তার স্ত্রী ও আরও ছয়জনকে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুড়তুতো ভাই, তার ২০ বছরের ভাইকে হত্যা করেছে। মৃতের বাবা দাসাই মুন্ডা এ ব্যাপারে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন যে তিনি ১ ডিসেম্বর ধানক্ষেতে কাজ করার জন্য বাইরে গিয়েছিলেন, সেই সময়, তার ছেলে কানু মুন্ডা বাড়িতে একা ছিলেন। মুন্ডার দাবি, তিনি বাড়ি ফেরার পর গ্রামবাসীরা তাঁকে জানান, তাঁর ভাইপো সাগর মুন্ডা তাঁর ছেলেকে অপহরণ করেছে। এরপর তারা কানুর খোঁজে চারিদিক তল্লাশী করেন, কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। এরপর থানায় অভিযোগ জানান মৃতের বাবা।
মুরহু থানার অফিসার-ইন-চার্জ চুদামানি টুডু জানান, তার অভিযোগের ভিত্তিতে খুন্তি সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার অমিত কুমার সাগর মুন্ডাকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন। সাগরকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায় সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। কীভাবে তারা কানুকে হত্যা করে তার কাটা মাথার সঙ্গে শেলফি তুলেছিলেন, সব পুলিশকে জানান। এরপর অনুসন্ধান চালিয়ে, কানুর ধড়টি কুমাং গোপলা জঙ্গলে পাওয়া যায় এবং ১৫ কিলোমিটার দূরে দুলওয়া তুংরি এলাকায় তার মাথাটি পাওয়া যায়।
তিনি জানান, ছয়টি মোবাইল ফোন, দুটি ধারালো রক্তমাখা অস্ত্র, একটি কুড়াল ও একটি এসইউভি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।