জানা গেছে, কলিমের বাবা মোহাম্মদ শামীম একজন দিনমজুর। তার কথায়, কালিম যখন ছোট ছিল তখন তিনি তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন এক ডাক্তারের কাছে। উদ্দেশ্য ছিল তার হাতের আকার কমানোর। কিন্তু, তাতে উলটো বিপত্তি হয়। অস্ত্রোপচারের ফলে কলিমের হাত আরও বড় এবং আরও বিকৃত হয়ে যায়।
ডাক্তারদের মতে, Macrodactyly একটি অস্বাভাবিক অবস্থা যেখানে ভিতরের হাড় এবং নরম টিস্যুর অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে একটি শিশুর পায়ের আঙ্গুল বা আঙ্গুলগুলি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়। Macrodactyly ক্যান্সার নয়। বড় আঙ্গুল বা পায়ের আঙ্গুল (সংখ্যা)হাত বা পা ব্যবহার করা কঠিন করে তুলতে পারে।
গবেষকরা জানেন না কেন কিছু শিশু ম্যাক্রোড্যাক্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। গর্ভাবস্থায় মা যা কিছু করেছেন (বা করেননি) তার কারণে এই অবস্থাটি ঘটেছে বলে মনে হয় না। যদিও বাচ্চারা এটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তবে, জন্ম সূত্রে ম্যাক্রোড্যাক্টিলি বাবা-মার কাছ থেকে শিশুদের শরীরে প্রবাহিত হয় না।
এক চরম দুঃখময় জীবন বয়ে নিয়ে চলেছে এই কিশোরটি।
তার এই ‘অদ্ভুত’ হাত দেখে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা তাকে ভয় পায়। তার বাবা তাকে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন ভর্তির জন্য। সেখানেও তার হাতের আকার দেখে ভয় পেয়ে যায় অন্য ছাত্ররা। ফলে তার আর স্কুলে ভর্তি হওয়া হয়নি।
রাস্তাঘাটে বের হলে তাকে ‘শয়তানের সন্তান’ বলে বিরক্ত করা হয়। তাই সে আর রাস্তাঘাটে বের হতে পারে না।
জানা গেছে, এই কিশোরের বাড়ি ঝাড়খন্ডের বোকারোর কাছে এক ছোট্ট গ্রামে। তার বাবার আকুতি কীভাবে তার ছেলে স্বাভাবিক হাত, স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে!