জানা গেছে, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্তরা। তবে এই অপরাধের উদ্দেশ্য এখনও অজানা।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম অঞ্জু (৪২) এবং তার সন্তান জিভা (৬) ও জাহ্নবী (৪)।
হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী আধিকারিক ডেবোরা নিধাম এক বিবৃতিতে বলেন, 'গতকাল আমরা খবর পেলাম নর্দাম্পটনশায়ারে আমাদের এক সহকর্মী মারা গেছেন। তিনি বলেন, "অঞ্জু আসোক একজন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষিত নার্স ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে আমাদের কেজিএইচ পরিবারে যোগ দিয়েছিলেন এবং বার্নওয়েল বি -তে কাজ করেছিলেন। পুলিশ নর্দাম্পটনশায়ারে তাদের বাসভবনে পৌঁছানোর সময় অঞ্জু মারা গেলেও, চিকিৎসার জন্য এয়ারলিফ্ট করার পরে শিশুরা মারা যায়। এ ঘটনায় অঞ্জুর স্বামী সাজুকে (৫২) আটক করেছে পুলিশ। তাকে আরও ৭২ ঘন্টা তাদের হেফাজতে রাখা হবে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করা হবে।
অঞ্জু কেরালার কোট্টায়াম জেলার ভাইকোমের বাসিন্দা এবং সাজু কান্নুর থেকে এসেছিলেন। এক বছর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে এই দম্পতি ইংল্যান্ডে চলে গেলেও ২০২২ সালের জুনে জিভা ও জাহ্নবী তাদের বাবা-মায়ের কাছে আসে বলে জানা গেছে।
ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে এই দম্পতি সৌদি আরবে সাত বছর অতিবাহিত করেন। সাজু আরব দেশে ড্রাইভার হিসাবে কাজ করতেন এবং অঞ্জু একটি হাসপাতালে কাজ করতেন।
যদিও এর আগে জানা গিয়েছিল যে এই তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তবে একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে অঞ্জুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।
ময়নাতদন্তের পর তিনজনের মরদেহই কেরালায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে। অঞ্জু এবং সাজু প্রেমে পড়েন এবং ২০১২ সাল।ে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে তারা গাঁটছড়া বাঁধেন।
তদন্তকারী আধিকারিক ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর সাইমন বার্নস বলেন, "আমরা এই তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ফরেনসিক পোস্ট মর্টেম পরীক্ষা আজ হবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করার জন্য আমাদের প্রতিবেশী পুলিশিং টিম আজ পেথার্টন কোর্ট এলাকায় টহল দিচ্ছে।