জানা গেছে, মৃতদের নাম জয়বোর আলি (বিলাসিপাড়ার আজারা-সালমারা গ্রামের বাসিন্দা), রামানি রাভা (উদয়পুর, দুধনোই থেকে) এবং তাঁর নাবালিকা মেয়ে জেনিসা রাহা। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য গোয়ালপাড়া সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাভার স্ত্রী মনীষা গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে গোয়ালপাড়া সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, মেঘালয়ের নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে খাবারের সন্ধানে বুনো হাতির একটি দল ওই এলাকায় আসে এবং লোকজনের উপর হামলা চালায়। অন্যদিকে, আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় বৃহস্পতিবার আর একটি পৃথক ঘটনায় একজন বনকর্মী মারা যান।
জানা গেছে, লখিপুর রেঞ্জ অফিসের বন কর্মকর্তারা, ঘটনাস্থলে গিয়ে শূন্যে গুলি চালায় এবং হাতির পালটিকে তাড়া করে। ওইদিন ১০ থেকে ১২ টি হাতির একটি দল জাতীয় মহাসড়কে চলে আসে। এই দৃশ্য দেখে কিছু লোক মোবাইলে ভিডিও তুলতে শুরু করে। ফলে, হাতির পাল বিরক্ত হয়।
পরে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে তারা মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের উপর তাণ্ডব চালায়।
হাতির পালটি একটি মারুতি সুইফট, লক্ষীপুর থেকে গোয়ালপাড়ার দিকে যাওয়া একটি ই-রিক্সা এবং অন্য একটি যাত্রীবাহী গাড়ি যেটি লখিপুরের দিকে আসছিল, তার উপর হামলা চালায়। তাদের আক্রমণে তিনজন যাত্রী নিহত হন, একজন আহত হন । তবে, যানবাহনের অন্য যাত্রীরা অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।
অন্য একটি ঘটনায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়ালপাড়া জেলার শোলমারি এলাকায় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় বুনো হাতির আক্রমণে এক বনকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতের নাম শাহদেব রায় (৫১)। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২২ সালেই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ-হাতির সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং খাদ্যে বিষক্রিয়ায় সাতটি হাতি প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।