মন্দিরের প্রতি ড্রোন শটের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ব্যপকভাবে সমালোচিত হওয়ার পরে তিনি এই ক্ষমা চাইলেন।
তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি প্রায় ২-৩ মাস আগে পুরী পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মন্দিরের এরিয়াল ছবি তোলার জন্য পুরী গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "সবকিছু তাড়াহুড়ো করে ঘটেছে এবং সময়ের অভাব এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে আমি পুলিশকে শুটিংয়ের জন্য জিজ্ঞাসা করতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি ফুটেজটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা অস্আবীকার করে বলেন, "আমি জানতাম যে কোনও ব্যক্তি ফুটেজের জন্য এই বিশাল পরিমাণ অর্থ দেবে না।"
অনিমেষ জানান, গত ১৯ নভেম্বর তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে ড্রোন শটগুলো আপলোড করেন। কারণ তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ও ব্লগে পুরী শ্রীমন্দিরে অনেক ভিডিও দেখতে পান। তিনি বলেন, "আমি মনে করি ইউটিউবে এ ধরনের সামগ্রী আপলোড করতে কোনো বাধা নেই। আমি ওই পোস্টে পুরী পুলিশকে কৃতিত্ব দিয়েছি, যাতে কোনও ব্লগার ওই এলাকায় এলোমেলোভাবে ড্রোন ওড়াতে না পারে।"
অনুমতি ছাড়াই মন্দিরের উপর ড্রোন ওড়ানোর জন্য তিনি পুরীর এসপির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। "আমি আমার ভুলের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন প্রভু জগন্নাথ," তিনি হাত জোড় করে বলেন। উল্লেখ্য, প্রায় ছয় মিনিটের এই ভিডিওতে 'নীলচক্র' থেকে সিংহদওয়ারা- দ্য লায়নস গেট পর্যন্ত আকাশপথের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওটিতে ওডিশা পুলিশকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই ইউটিউবার।
বিষয়টি সামনে আসার পর শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ) ঘটনার তদন্ত শুরু করে। উল্লেখ্য, শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ) গত মাসে সিঙ্ঘদ্বার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে যখন মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। পরে, বাংলাদেশের এক যুবককে ছবিটি তোলার জন্য এবং তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল