এই বিধায়ক জনসংযোগে জোয়ার এনে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে যাচ্ছেন, নতুন ও পুরাতন তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তৈরি করছেন সেতু

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হুগলি তথা পশ্চিমবঙ্গের বুকে তপন দাশগুপ্ত নামটা বহু পুরানো নাম। একসময়ের লড়াকু যুবকংগ্রেস নেতা থেকে আজকের তৃণমূল বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এই তপন দাশগুপ্ত। সংগঠনটা যেমন ভালো বোঝেন, তেমনি বোঝেন গ্রাম বাংলার তৃণমূল কর্মীদের সুবিধা অসুবিধা। সাধারণ ভোটারদের ‘পালস’ টাও বোঝেন তেমনই। 


পুরানো তৃণমূল কর্মীদের যথাযথ মর্যাদা দিয়েই দলের নতুন কর্মীদের মধ্যে তাদের সম্পর্ককে দৃঢ করে তুলছেন, প্রতি মুহুর্তে চাঙ্গা করে তুলছেন কর্মীদের মনোবল, একই সাথে কোন কোন জায়গায় দলের দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলি মেরামতের উপরও জোর দিয়েছেন।
বর্তমানে, যেখানে রাজনীতির ময়দানে কু-কথার লড়াই চলছে, বিরোধী ও কিছু তৃণমূল নেতা আশ্রয় নিচ্ছেন, কুকথার, উস্কানীমূলক বিবৃতি দিয়ে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করছেন, তপনবাবু কিন্তু সেপথে হাঁটেন নি। তিনি জোর দিয়েছেন সংগঠনের উপর। জনগণের কাছে সোজা সরল ভাষায় পৌছে দিচ্ছেন বাংলার উন্নয়নের বার্তা। বামফ্রন্টের আমলে তাদের অবস্থা কী ছিল, আর বর্তমান সরকারের আমলে কী কী গঠনমুলক কাজ হয়েছে, সেটাই তিনি বোঝাচ্ছেন। কর্মীদের কাছে সোজা ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছেন, পুরানো কর্মীদের সম্মান দিয়ে সকলে মিলে লড়াই করার। 
একই সঙ্গে কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন, যারা বিগত ৫ বছর ধরে জনগণের সঙ্গে প্রতিটি মুহুর্তে আছেন, তারাই পঞ্চায়েত ভোটে টিকিটের দাবিদার হতে পারেন, কাজ না করে টিকিট পাওয়া যায় না। মমতা ব্যানার্জীর বহুদিনের এই সৈনিক, এখনো বিশ্বাস করেন, চমক দিয়ে জেতা যায় না, জিততে হলে, মানুষের পাশে থাকা প্রয়োজন, সংগঠনকে মজবুত করা প্রয়োজন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad