গত ২০ বছর ধর ওড়িশার কান্ধামাল জেলার ফুলবনীর জগন্নাথ মন্দিরের সামনে ভিক্ষা করতেন ৬০ বছর বয়সী এক মহিলা, তুলা বেহেরা। তিনি আদতে ছিলেন কটকের বাসিন্দা। পরে ফুলবনীর প্রফুল্ল বেহেরার সঙ্গে তার প্রেম হয়। প্রেম থেকে বিয়ে। বিয়ের পর তিনি চলে আসেন ফুলবনীতে।
কিন্তু, তার জীবনে সুখ ছিল না। বিয়ের কয়েকটা বছর পর তার স্বামীর মৃত্যু হয়। অভাবের সংসার। রোজগার নেই। কয়েক বছর এখানে সেখানে ছোটখাটো কাজ করে কোনো রকমে দিন চলতো। কিন্তু, সেই সুখটুকুও রইলো না। ভেঙ্গে পড়লো তার স্বাস্থ্য।
চলে গেল কাজ।
আর তিনি এসে দাঁড়ালেন জগন্নাথ মন্দিরের সামনে। সেখানেই বসে থাকতেন তিনি। মন্দিরে আগত ভক্তরা তাকে দিয়ে যেতেন খুচরো পয়সা, মাঝে মাঝে টাকা। সেই টাকায় খেয়ে-পড়ে, বাকিটা জমাতেন পোস্ট অফিসে।
এইভাবে দিন কাটছিল, বছর। একদিন পোস্ট অফিসে গিয়ে শুনলেন, তার এক লক্ষ টাকা জমেছে। তার মনে কী যে হলো, সেই টাকা তুলে তিনি চলে গেলেন ফুলবনী জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুনাসির মহাপাত্রের কাছে। তারপর তাকে জানালেন, তিনি এই টাকা মন্দিরে দান করতে চান। শুনে সবাই অবাক। তার কীভাবে চলবে, জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেছিলেন, যেভাবে প্রভু চালাচ্ছিলেন, সেভাবেই চলবে।