জানা গেছে, সম্প্রতি বাঘপতে মৃতের পৈতৃক জমি বিক্রি হওয়ার পর এই হত্যাকারীর পরিচয় পাওয়া যায়। , যার ফলে তিনি এক কোটি টাকা আয় করেন। উপরন্তু, হত্যাকারীর বন্ধু পরভেশকে আটক করা হয়েছে।
অঙ্কিত খোকার লখনৌয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পিএইচডি ছাত্র ছিলেন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে একাই থাকতেন তিনি। আচমকাই অঙ্কিতের বন্ধুরা লক্ষ করেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাদের ফোনে সাড়া দিচ্ছেন না অঙ্কিত। কল করলেও কল ব্যাক করছিল না। তখনো তাদের সন্দেহ হয় নি। এরপর মাঝে মাঝে তারা লক্ষ্য করলেন, অঙ্কিত ফোন ধরছিলেন ঠিকই, কিন্তু কণ্ঠস্বরটি তার ছিল না। এবার সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তারা পুলিশে দ্বারস্থ হন।
গাজিয়াবাদ গ্রামীণের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ইরাজ রাজা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বাড়িওয়ালা জানিয়েছিলেন তিনি অঙ্কিতকে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কোথায় সে সম্পর্কে তারও কোনও ধারণা নেই। তদন্তে জানা যায়,বাড়িওয়ালা তার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে মৃত অঙ্কিতের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ লাখ টাকা তুলে নেন। এরপর তিনি কার্ডটি তার বন্ধু প্রবেশকে দিয়ে বলেন উত্তরাখন্ডে গিয়ে টাকা তুলতে, এমনকি তার সঙ্গে অঙ্কিতের ফোনটিও নিয়ে যেতে বলেছিলেন, তদন্তকে বিভ্রান্ত করার জন্য।"
একটি করাত ব্যবহার করে, তিনি অঙ্কিত খোকারের দেহটি কমপক্ষে তিন টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন। তারপর তা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে ফেলে আসেন বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ জানায়, তিনি তিনটি টুকরো ছুঁড়ে ফেলেন - একটি মুসৌরি খালে, একটি মুজফফরনগরের খাটৌলিতে এবং একটি মহাসড়কে।