বর্তমানে গ্রামের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ১৭টি গাছ কাটেন। সপ্তাহে তিন দিন গাছ কাটেন। দুই দিনের রস নেন গাছি। একদিন নেন গাছের মালিক। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে খেজুর গাছ কাটছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ১৭টি গাছে চার থেকে পাঁচ হাঁড়ি রস হয়। গত কয়েকদিন ধরে দুটি খেজুর গাছের রস প্রতিদিন চুরি হচ্ছে। রসের সঙ্গে হাঁড়িও চুরি হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবে রক্ষা করা সম্ভব ছিল না। এজন্য বেশ কয়েকদিন কষ্ট করে পাহারা দিয়েছি। তাতেও লাভ হয়নি। পাহারা শেষ হলে আবারও চুরি হয়। এ কারণে এক মাস আগে ৬০০ টাকা খরচ করে দুই হাঁড়িতে লোহার শিকল ও তালা দিয়েছি। এরপর আর রস ও হাঁড়ি চুরি হয় না। বাকি ১৫টি গাছের রস চুরি না হওয়ায় তাতে তালা দিইনি।
দীপক আরও বলেন, রসের চেয়েও দামি হচ্ছে কালো হাঁড়ি। কারণ এখন লাল রংয়ের হাঁড়িতে রস ধরলে অনেকে নিতে চায় না। ওই হাঁড়ি পূজার কাজে লাগে। এজন্য কালো হাঁড়ি কিনতে হয়। প্রতিটি হাঁড়ির দাম ৮০ টাকা। ওই দুটি গাছের জন্য আমাকে এ পর্যন্ত ২০টি হাঁড়ি কিনতে হয়েছে।
লোহার শিকল ও তালা দেওয়ার পাশাপাশি নিপাহ ভাইরাসরোধে হাঁড়ির মুখে জাল পেঁচিয়ে রেখেছি উল্লেখ করে দীপক বলেন, গাছ থেকে রস নামানোর সময় আগে মানুষজন দেখলে মনে হতো রস নিতে এসেছেন। কিন্তু এখন হাঁড়িতে যে তালা মেরেছি, তা দেখতে আসছেন মানুষজন। আমার কিছুই করার ছিল না। রসের চেয়ে হাঁড়ি রক্ষায় এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।