অভিযোগে জানা গেছে, ওই বিদেশি ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকাকে তার অশ্লীল ছবি ও বার্তা পাঠিয়েছিলেন এবং তার সতর্কতা উপেক্ষা করে বেশ কয়েকবার তাকে অশালীনভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিলেন। এর পর ওই সহকারী অধ্যাপিকা তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনেন।
অধ্যাপিকার অভিযোগ, গত দু'মাস ধরে বিএইচইউ ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে ওই ছাত্র তাঁকে টার্গেট করে হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আশঙ্কা করেন, এর ফলে, তার প্রাণনাশের চেষ্টা হতে পারে। তিনি জানান যে তাকে আতঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে তার অফিসে ভাঙচুরও করেছিলেন ওই ছাত্র।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "ওই ছাত্র জনসমক্ষে আমার চরিত্রকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছিলেন। আমি এর আগে আমার বিভাগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। এরপর শিক্ষক পরিষদ তার আমার বিভাগে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। তা সত্ত্বেও তিনি এসে আমাকে অপমান করতেন।“
এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি বিএইচইউ ক্যাম্পাসের বাইরেও তাকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছিলেন। ওই শিক্ষিকা আরও দাবি করেছেন যে বারবার হয়রানির কারণে তিনি হতাশায় চলে গিয়েছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব কম সহায়তা করায় তার সমস্যা আরও বেড়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে ইন্সপেক্টর অশ্বিনী পান্ডে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
বিএইচইউ-র চিফ প্রক্টর অভিমন্যু সিং জানিয়েছেন, “এক মাস আগে ওই শিক্ষিকা প্রথম অভিযোগ করেছিলেন এবং তাঁর বিভাগকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছিল। তাকে রক্ষা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল, কিন্তু কয়েক দিন পরে বিভাগ জানায় যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তখন রক্ষী প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্র আবারও ওই কাজে লিপ্ত হয়।“