Breaking News

6/trending/recent
সংবাদ ভয়েস ৯ বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও অনাবাসী বাঙ্গালীদের প্রিয় নিউজ পোর্টাল হোয়াটসঅ্যাপ +৯১-৮৯২৭০৪২৫৯৪ সম্পাদক : তারক ঘোষ

Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

সৈনিক পাত্র মেয়ের বাবার কাছ থেকে একটা টাকা ও একটা নারকেল নিয়ে বিয়ে করলেন

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ যে সমস্ত ‘শিক্ষিত’, ‘চাকুরিজীবী’ ‘ধনী’ পাত্ররা মেয়ের বাবার ‘গলা টিপে’ লক্ষ লক্ষ টাকা পণ হিসাবে দাবী করেন। বাড়িতে যেন কিছু নেই, এরকম ‘ভিখারী সেজে’ মেয়ের বাবার টাকা না হলে তার সংসার চলবে না, এরকম ভাব দেখিয়ে নির্লজ্জভাবে পণের টাকার দাবি করেন, সেই সমস্ত ‘অর্থ-পিশাচ পাত্র ও পাত্রের পিতা-মাতাদের' কাছে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে নাগৌর জেলার হুডিল গ্রামের প্রেম সিং শেখাওয়াতের মেয়ে ববিতা কানওয়ারের বিয়ের ঘটনা। 
পণপ্রথা নামক সমাজের বুকে জমে থাকা এক দীর্ঘস্থায়ী লজ্জা্কে এক লহমায় ভেঙ্গে দিয়ে এক নজির গড়েছেন জয়তারান তহসিলের ধানির বাসিন্দা পাত্র অমর সিং তানওয়ার। 


তিনি বিয়ের আসরেই কন্যাপক্ষের দেওয়া ১১.৫১ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে মাত্র একটা টাকা আর নারকেল নিয়ে বিবাহ করেন। যৌতুক প্রথা বন্ধের একটা নিদর্শন হিসাবে তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষজনেরা।
 আর হায় হায় করেছেন- সমাজের অপদার্থ কিছু পণলোভী পিতা-মাতা ও তাদের অপদার্থ ছেলেরা, যারা এখনো পণের নামে অত্যাচার চালায় পুত্রবধূ বা স্ত্রীর উপর।
অমর সিং তানওয়ার ও ববিতা কানওয়ারের এই বিয়ে শুধু গ্রামেই নয়, আশেপাশের এলাকায়ও আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। রাজপুত সম্প্রদায়ের মানুষ সহ সকলেই পাত্রের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। 
জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি নাগৌর জেলার হুডিল গ্রামের প্রেম সিং শেখাওয়াতের মেয়ে ববিতা কানওয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়তারান তহসিলের ধানির বাসিন্দা অমর সিং তানওয়ারের।
 অমর সিং তানওয়ার, একজন সেনা অফিসারের ছেলে। বর্তমানে একজন সেনা সৈনিক হিসাবে নিযুক্ত। তিনি বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন অঞ্চলে সৈনিক হিসাবে কাজ করেন। শুধু তিনি নন, সৈনিক হিসেবে তার পরিবার তিন প্রজন্ম ধরে দেশের সেবা করে আসছে। 
অমর সিংয়ের বাবা ভানওয়ার সিং সেনাবাহিনীর একজন সুবেদার মেজর ছিলেন এবং দাদা বাহাদুর সিং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ সালে ভারত-চীন যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশের সেবা করেছিলেন। 


তানওয়ার রাজপুত সোসাইটি সমগ্র রাজপুত সমাজের কাছে আবেদন করেছেন যে সমাজে পণ প্রথা বন্ধ করুন যাতে কন্যা শিশু কোনও দরিদ্র পরিবারের বোঝা হয়ে না পড়ে।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad