বাঙালি বলেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে সৌরভের। ১৯৮৯ সাল থেকে বহুবার ঢাকায় এসেছেন, যতবার ঢাকায় এসেছেন অভিজ্ঞতাই নাকি হয়েছে।
সৌরভ বলেন, আমার যতদূর মনে পড়ে, বালাদেশে প্রথম আসি ১৯৮৯ সালে, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে এশিয়া কাপ খেলতে। সেই থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। সর্বশেষ আসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, যেখানে ফাইনালে শ্রীলংকার কাছে ভারত হেরেছিল।
ভারতীয় এই কিংবদন্তি আরও বলেন, যতবার বাংলাদেশে আসি, অসাধারণ লাগে। ভালোবাসা পাই, ভালোবাসা মানে অকৃত্রিম ভালোবাসা। বেশি ভালো লাগে কী জানেন, বাংলাদেশে যখনই খেলা হয় স্টেডিয়াম থাকে দর্শকে পূর্ণ।
এতেই বোঝা যায়, খেলাটার প্রতি মানুষের ভালোবাসা কতটা।
গত বছর বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য রজার বিনি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হওয়ার আগে ২০১৯ সাল থেকে বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
সৌরভের আয়োজনে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ-ভারত পিঙ্ক বলের টেস্ট ম্যাচ খেলে।
শুধু তাই নয়! টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর সৌরভের সময়েই ভারতের মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় টাইগারদের।
কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে সৌরভ বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সব সময় জড়িয়ে থাকবে। আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশে।
২০০০ সালে বাংলাদেশের ছিল অভিষেক টেস্ট। আমার এখনো মনে আছে, তখন নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম হয়নি। পুরোনো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। প্রথম ইনিংস শেষে ড্রেসিংরুমে ঢুকে আমার মনে হয়েছিল, আমার অধিনায়কত্বে প্রথম টেস্ট হেরে যাব! পরে আমরা ম্যাচে কামব্যাক করি এবং জয় তুলে নেই।