হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজলু গাজী বলেন,গরু আনতে বনের মধ্যে যাই কিছুদূর যেতেই গরু পাই। এরপর গরু নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এর মধ্যে টের পাই, পিছন দিক থেকে কি যেন দৌড়ে আসতেছে। পিছন ফিরে বাঘ দেখে আমি চিৎকার শুরু করি।
তখন সামনের খালে দুই নৌকায় থাকা দশ বারো জন লোকও ডাক চিৎকার শুরু করে। আমার দিকে দৌড়ে আসে, এর মধ্যে বাঘে আমার একটা পা কামড়ে ধরে। নৌকার লোকজন দৌড়ে আসলে বাঘ আমাকে ছেড়ে চলে যায়।
ফজলু গাজী ছেলে মোঃ ফিরোজ গাজী বলেন, ঢাকায় ফেরি করে সবজি বিক্রি করি। গরু আনতে আমার বাবা বনে গেছিল।
কোন পাশ (বনে প্রবেশের অনুমতি) করা হয়নি। তাই ভয়ে আমরা কাউকে কিছু বলিনি। তাছাড়া টাকা-কড়ির জোগান না থাকায় স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। সবশেষ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক ডাক্তার দেখালে তিনি আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, বাঘের কামড়ে আহত ফজলু গাজীর ডান পায়ের ক্ষত অনেক বেশি। সেখানে গভীর গর্ত হয়ে গেছে। পরিবারটি অনেক দরিদ্র, চিকিৎসার ব্যয় মেটানোও তাদের জন্য কঠিন। আমরা তাকে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে সব ধরনের সেবা দিচ্ছি।
আজ শনিবার তার পায়ের ক্ষত স্থানে অস্ত্রপাচার করা হবে।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই ও শরনখোলা রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।