আর এব্যাপারে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যের সব জেলাশাসকদের বৈঠক সারা হয়ে গেছে।
এই বৈঠকে পঞ্চায়েত দফতরের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের সচিবরা। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলায় সমবায়গুলির জন্য কমিটি গঠন করতে হবে আর এই কমিটি হবে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের নেতৃত্বে। মুখ্যসচিবের এই নির্দেশের পরেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে তৎপরতা।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, লেনদেন বাড়ানো, কোর ব্যাঙ্কিং, এবং সমবায়ের যাবতীয় তথ্য কম্পিউটারে আপলোড করতে হবে। এছাড়া, গ্রামে গ্রামে রাস্তা নির্মানের জন্য প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে।
তবে, এই রাস্তা নির্মানে কোন কারচুপি চলবে না। স্বচ্ছভাবে উন্নত মানের রাস্তা তৈরি করতে হবে এবং আগামি এপ্রিলের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। এই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচালয়, পেনশন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং গোষ্ঠীর ক্রেডিট লিংকেজের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বলা হয়েছে, স্কুল সংলগ্ন অঙ্গনওয়াড়িগুলিকে স্কুলের মধ্যে দ্রুত স্থানান্তরিত করতে হবে।
অন্যদিকে গত ২ ফেব্রুয়ারী দীর্ঘ বছরের অপূর্ণ দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সমবায় ও সমবায়ের কর্মীদের বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় তাদের দাবিপত্রে।
এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে -
প্রাথমিক সমবায় কৃষি উন্নয়ন কর্মীদের রোপা ২০১৯ অনুযায়ী পে-স্কেল চালু করা ও সরকারের মাধ্যমে বেতন দেওয়া।
সরকারী খরচায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমবায় সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালন কমিটি গঠন। সমবায় সমিতির কে সি সি ও এস এইচ জি গ্রাহকদের আরো কম সুদে ঋণ দাদন ও আমানতকারীদের আমানতের উপর সর্বোচ্চ সুদ প্রদানের লক্ষ্যে দ্বি-স্তরীয় ব্যবস্থার প্রচলন করা।
কে সি সি ও এস এইচ জি গ্রাহকদের ঋণের সুদ-ভর্তুকি নিয়মিতভাবে প্রদানের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। সমবায় সমিতিগুলিতে ডিপোজিট গ্যারান্টি স্কীম চালু।
কে সি সি ও এস এইচ জি গ্রাহকদের জন্য সরকারী খরচে জীবন-বিমার আবশ্যিক চালু।
এছাড়া কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে, মৃতের পরিবারের একজনকে চাকুরীর নিশ্চয়তাকে বাধ্যতামূলকভাবে আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া।
.