সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে কয়েকটি বাড়ি ধসে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক য়াধিকারিকের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, "ভূমিকম্পের ফলে আলেপ্পো, হামা এবং লাতাকিয়ায় ৪২ জন নিহত এবং ২০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।"
আজ ভোরে অতি শিক্তিশালী ভূমিকম্পে কেপে উঠেছিল তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায় নি। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৯। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭.৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং সাইপ্রাস, লেবানন এবং সিরিয়ায় এই শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বাড়ি ধসে পড়েছে, প্রাণহানির আশঙ্কা বিপুল।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে যে ভূমিকম্পটি দক্ষিণ তুর্কি শহর কাহরামানমারাসের কাছে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) সিরিয়ার সীমান্তের কাছে কাহরামানমারাস এবং বৃহত্তর শহর গাজিয়ানটেপের কাছে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৪ নির্ধারণ করেছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে আলেপ্পো প্রদেশে প্রচুর সংখ্যক বাড়ি ধসে পড়েছে।
অন্যদিকে হামা সিভিল সার্ভিসের একটি সূত্র জানিয়েছে সেখানে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়েছে। ওই ধসে পড়া বাড়ির মধ্যে অনেকে আটকে থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ভূমিকম্পটি প্রধান শহর এবং প্রাদেশিক রাজধানী গাজিয়ানটেপ থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার (২০ মাইল) কেন্দ্রে ছিল। এটি নুরদাগি শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার (১৬ মাইল) দূরে ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে এটি ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরে কেন্দ্রীভূত ছিল। তুরস্কের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
তুরস্ক সরকারের পক্ষে ফাহরেতিন আলতুন জানিয়েছেন, “আমাদের জাতীয় দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা, AFAD-এর মাধ্যমে সমস্ত কাজ সমন্বিত করা হচ্ছে। আমাদের সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থা হাই অ্যালার্টে রয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রপতি আমাদের সরকারের ভূমিকম্প সংক্রান্ত সকল বিষয় দেখছেন। আমাদের সরকার তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। আমি আমাদের জাতি এবং আমাদের দেশের প্রতি আমাদের সবচেয়ে আন্তরিক উদ্বেগ এবং সহানুভূতি প্রকাশ করতে চাই।“