ভয়েস ৯, ভুবনেশ্বরঃ হেফাজতে এক হাতি চোরা-শিকারীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক করা হয়েছে ওড়িশা বনদপ্তরের ১০ আধিকারিককে।
এই আটকদের মধ্যে রয়েছেন দুই সহকারী বন সংরক্ষক (ACFs)- ঘনশ্যাম মুদুলি এবং হরেকৃষ্ণ মল্লিক- এবং বাদাম্বা রেঞ্জার সুব্রত বেহেরা।
তাদের আঠাগড় থানায় আটক করা হয়েছে। সোমবার কটকের আঠাগড় বন বিভাগের অধীনে বাদাম্বা রেঞ্জ অফিসে হেফাজতে ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরে পুলিশ বন বিভাগের ১০ জন আধিকারিককে আটক করেছে।
জানা গেছে, হাতি শিকার করে তার দাঁতগুলি সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে খন্তাকাটা সাতগোচিয়া গ্রামের বাসিন্দা ধনেশ্বর বেহেরাকে রবিবার বন বিভাগের আধিকারিকরা ধরে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩১শে জানুয়ারী বাদাম্বা রেঞ্জের অন্তর্গত হিপিন্ডা রিজার্ভ ফরেস্টে নিখোঁজ একটি হাতির বুলেটবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনায় তার জড়িত থাকার সন্দেহে, বন বিভাগ ধনেশ্বরকে ধরে।
অভিযোগ করা হয়েছিল যে মৃতদেহটি গ্রামবাসীদের নজরে পড়ার আগে জঙ্গলে দু'দিন ধরে পড়ে ছিল। জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করতে যাওয়া গ্রামবাসীরা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে বন বিভাগের আধিকারিকরা এবং বাদাম্বা ভেটেরিনারি অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রাণীটির মৃতদেহ কবরের আগে ময়নাতদন্ত করেন।
এরপর, বনদপ্তরের আধিকারিকরা ধনেশ্বরকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু, সেই ধনেশ্বর আচমকাই মারা যায় বনদপ্তরের হেফাজতে থাকার সময়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তার এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য আছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ বনদপ্তরের ১০ আধিকারিককে আটক করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নরসিংহপুর ও বাদাম্বা থেকে চারটি করে হাতির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছিল যা ব্যাপকভাবে চোরাশিকারের কথা মনে করিয়ে দেয়।