তিনি ১৯৯২ সালের ৮ জুলাই কনস্টেবল হিসেবে ওড়িশা পুলিশে যোগ দেন। কনস্টেবল থেকে নিজের পরিশ্রমে ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এএসআই পদে পদোন্নতি পান। তার চাকরীর রেকর্ডে বলা হয়েছে, বেশ কিছু মামলায় তার তদন্ত সাফল্য এনে দেয় । এই কারণে তিনি কমপক্ষে ১৮টি পদক জিতেছিলেন।একসময় এই গোপাল দাস মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বেও ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে, ঘটনার সময় গোপাল দাস ব্রজরাজনগর থানার গান্ধী চক পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
স্বভাবতইঃ সাধরণ মানুষ তো বটেই, ওড়িশা পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চএর অফিসাররাও বুঝতে পারছিলেন না, আচমকাই গোপাল দাস এই ধরণের কাজ করে বসলেন কেন। তবে, তাকে জিজ্ঞসাবাদ করে যে তথ্য গোয়েন্দারা পেয়েছেন, তা বেশ চমকপ্রদ। ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাসকে হত্যা একদিনের পরিকল্পনা নয়। তাকে হত্যার 'স্পষ্ট উদ্দেশ্য' ছিল ধৃত গোপাল দাসের। এরকমটাই দাবি গোয়েন্দাদের।
ওড়িশা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের মতে, এএসআই গোপাল দাস গত দুই সপ্তাহে মন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য বার ৫ চেষ্টা করেছিলেন। তবে, তার আগের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
জানা গেছে, ঝাড়সুগুড়ার সারবাহালে মন্ত্রী নবকিশোর দাসের বাড়ির আশেপাশে তিনি পিস্তল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এই সময় তিনি জানার চেষ্টা করেছিলেন নবকিশোর বাড়িতেই আছেন, নাকি বাইরে গেছেন। রবিবার তিনি সুযোগ পেয়ে যান। সেদিন তার ডিউটি ছিল ট্র্যাফিক ক্লিয়ারেন্সএ। মন্ত্রঈ নবকিশোর দাসের সেদিন একটা অনুষ্ঠান ছিল। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই এএসআই গোপাল দাস মন্ত্রীর খুব কাছে এসে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে তাঁর সার্ভিস পিস্তল থেকে গুলি ছোঁড়েন।
কিন্তু, কেন তিনি মন্ত্রী নবকিশোরকে টার্গেট করলেন? চিছকই সাময়িক উন্মাদনায়? নাকি এটা কোন বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ ছিল? না কি এর পিছনে অন্য ‘মাথা’ আছে?
যেহেতু, এর আগে গোপাল দাস মন্ত্রীকে ৫ বার হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করেন, তাই তদন্তকারীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওবিভিন্ন সূত্র মারফত খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের চাকরি এবং নিজের শহরের নিকটবর্তী একটি থানায় বদলি সহ এএসআইয়ের কিছু ব্যক্তিগত অনুরোধে মন্ত্রী সাড়া না দেওয়ায় মন্ত্রীর উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন গোপাল দাস। তদন্তকারীদের মতে এই হত্যাকাণ্ডটি নিছক প্রতিশোধের।