পঞ্চকুলার সেক্টর ২৬-এর এক বাসিন্দাকে প্রতারণামূলকভাবে ‘কোভিড রোগী’ হিসাবে ঘোষণা করার জন্য এই মামলা দায়ের হয়েছে।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত চণ্ডীমন্দির থানার এসএইচওকে আইপিসি, ১৮৬০-এর ২৬৯, ২৭০, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১২০-বি এবং ৫০৬ ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, তারসেম চাঁদ (৬৭) নামে একজন ডায়াবেটিক রোগীকে কাশির কারণে পঞ্চকুলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভিযোগ, কোনো প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পরিবারের সদস্যদের তাকে জরুরি কক্ষে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। যেখানে একজন মহিলা চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ডাক্তার রোগীর রক্তচাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করেন, যেগুলো তখন একেবারেই ঠিক ছিল।
কোনো পরীক্ষা না করেই চিকিৎসক তাকে ২ মিনিটের মধ্যে কোভিড রোগী হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর ডাক্তার রোগীর ছেলে সৌরভ শর্মাকে ঘর থেকে সরে যেতে বলেন এবং ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
ডাক্তার রোগীর ছেলে সৌরভকে জানান, তার বাবা হার্টের রোগী। এরপর, ডাক্তার আবার ভিতরে চলে যান। তিনি আবার দুই মিনিট পর মহিলা ডাক্তারকে নিয়ে বাইরে এসে তাকে বলেন যে রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এবং অবস্থা গুরুতর।
ডাক্তার রোগীকে কিছু স্টেরয়েড দেওয়ার জন্য তার ছেলেকে কিছু নথিতে স্বাক্ষর করতে বলেন এবং হাসপাতালে ২০,০০০ টাকা জমা দিতে বলা হয়।
অভিযোগকারীর ছেলে হাসপাতালে গেলে তাকে বলা হয় যে রোগী ভেন্টিলেটরে ছিলেন এবং তার গুরুতর অবস্থার কারণে তাকে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা ছেলে সৌরভকে জানান যে তার বাবা কোভিড রোগী হওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল থেকে তাদের রেকর্ডে কোনও তথ্য নেই। ততদিনে পরিবারের দ্বারা প্রায় ৯-১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল চিকিত্সার জন্য। এই টাকা রোগীর পরিবারকে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার করে যোগাড় করতে হয়েছিল।
এরপর, ২০২২ সালের ১৬ জুন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে ভূক্তভোগীর পরিবার। কিন্তু পুলিশ একটি দৈনিক ডায়েরি রিপোর্ট নথিভুক্ত করে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, ক্ষুব্ধ পরিবার আইনজীবীদের মাধ্যমে ২৩জানুয়ারী, ২০২৩ তারিখে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে একটি আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের নির্দেশ।