দীর্ঘ বছরের অপূর্ণ দাবি নিয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গ সমবায় কর্মচারী সমিতির ডেপুটেশন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ দীর্ঘদিন ধরেই সমবায় কর্মচারী সমিতি রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কয়েক দফা দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও, তাদের সেই সমস্ত দাবি মানা হয়নি। ফলে, স্থায়ী পে-স্কেল সহ, একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় কর্মচারী সমিতির রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আজ দুপুরে ডেপুটেশন ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে সমবায় কর্মচারী সমিতির রাজ্য সংগঠন। 
গ্রামীন সমাজের সার্বিক উন্নতি ও গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার অঙ্গীকার নিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলার গ্রামে-গঞ্জে সমবায় উল্লেখযোগ্য কাজ করে চলেছে। কিন্তু, বার বার আন্দোলন ও ডেপুটেশনে অংশ নিয়েও এই সমিতির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য দাবি আজও উপেক্ষিত হয়ে আছে বলে অভিযোগ।
সমবায়এর নানা সমস্যা ও তা পূরণের দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন জেলা ও ব্লকের সমবায় কর্মীরা ‘সমবায় কর্মচারী সমিতি’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলে। 
 সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল –“সমবায় বাবস্থাপনাকে সঠিকভাবে চালু রাখা ও কর্মচারীদের আর্থিক, সামাজিক অধিকারকে সংগঠিত করা। সংগঠন সমবায়ের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নীতি কে মান্যতা দিয়ে েই সংগঠন পরিচালিত হবে। জাতীয় স্তরে ও রাজ্য স্তরে সমবায় ও সমবায় কর্মচারির ওপর আঘাত এলে তার অবসানের পথ ও দেখাবে এই সংগঠন। সংগঠন সর্বদা সমবায়ের আন্তর্জাতিক ও জাতীয়স্তরের পতাকা উর্দ্ধে তুলে ধরে সমবায় ও সামবায়ীর অধিকারী রক্ষায় ব্রতী থাকবে।"
 দীর্ঘদিন ধরেই এই সংগঠন গ্রামীন মানুষের জীবন-জীবিকা-কৃষি-ভিত্তিক অর্থনীতির মান উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু, বহুবার তারা নানা ধরণের সমস্যার মুখোমুখী হয়েছে। এর মধ্যে সমবায় সংক্রান্ত, গ্রাহক সংক্রান্ত বিষয় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সমবায় কর্মীদেরও নানা সমস্যা। 
এই সমস্যাগুলির স্থায়ী সমাধান না হওয়ার ফলে কর্মী ও সমবায় সমিতির গ্রাহকরাও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে ২০২১ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারী নবান্ন অভিযান ও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সে বছর অন্যান্য দাবীর মধ্যে আর একটি দাবী ছিল সমবায় ভাবনাকে পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভূক্ত করা ও কৃষিতে সেচের জন্য বিদ্যুৎ মাসুল কমানো।

সমিতির দাবির মধ্যে রয়েছে 

 প্রাথমিক সমবায় কৃষি উন্নয়ন কর্মীদের রোপা ২০১৯ অনুযায়ী পে-স্কেল চালু করা ও সরকারের মাধ্যমে বেতন দেওয়া। 
 সরকারী খরচায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমবায় সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালন কমিটি গঠন। সমবায় সমিতির কে সি সি ও এস এইচ জি  গ্রাহকদের আরো কম সুদে ঋণ দাদন ও আমানতকারীদের আমানতের উপর সর্বোচ্চ সুদ প্রদানের লক্ষ্যে দ্বি-স্তরীয় ব্যবস্থার প্রচলন করা।
 কে সি সি ও এস এইচ জি গ্রাহকদের ঋণের সুদ-ভর্তুকি নিয়মিতভাবে প্রদানের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। সমবায় সমিতিগুলিতে ডিপোজিট গ্যারান্টি স্কীম চালু। 
 কে সি সি ও এস এইচ জি গ্রাহকদের জন্য সরকারী খরচে জীবন-বিমার আবশ্যিক চালু। 
 এছাড়া কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে, মৃতের পরিবারের একজনকে চাকুরীর নিশ্চয়তাকে বাধ্যতামূলকভাবে আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad