অন্যথায় লাইভে এসে আত্মহত্যা করে দেশটাকে রেহাই করে যাব।
রবিবার (২৬ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিরো আলমের উত্থান নিয়ে নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেছেন, আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। আর সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একজন মানুষের উত্থান হয়েছে।
তার এই কথার প্রেক্ষিতে সোমবার (২৮ মার্চ নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, বলেন, আমি নাকি দেশের রুচি নষ্ট করে ফেলছি, সমাজ নষ্ট করে ফেলছি। যদি তাই হয়, দেশে এত যে রুচিশীল মানুষ আছেন, তারা কেন সমাজের রুচি ফিরিয়ে আনতে পারছে না?
এই সমাজের সুশীল লোকেরা তাকে গ্রহণ করতে পারে না দাবি করে হিরো আলম বলেন, যাদের চেহারা সুন্দর, দেখতে ভালো, টাকা আছে, ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো এবং মামা-খালু আছে, তারা হচ্ছে সমাজের সুশীল লোক। আমি তো সুশীল না, চেহারা খারাপ, দেখতে ভালো না। তাই আমাকে নিয়ে এত কথা উঠে।
হিরো আলম বলেন, আমি তো কখনো কারো কাছে যায়নি যে আমাকে কাজ দেন। আমাকে আপনারা তৈরি করেননি। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি তো আমাকে তৈরি করেননি।
নিজের কাজের কথা তুলে ধরে হিরো আলম বলেন, এফডিসির কয়েকজন ৫০০ টাকার পরিচালক আছেন যারাও কিনা আমাকে নিয়ে নানা কথা বলে।
আমাকে তো আপনারা তৈরি করেননি, আমি কারও কাছে যাইনি। আমি শুধু আমার কাজ করে যাচ্ছি, ফাউন্ডেশন চালাচ্ছি। অনেকে বলে এই ফাউন্ডেশনের নামে নাকি আমি ব্যবসা করছি!
হিরো আলম বলেন, সংসদে অনেক এমপিদেরও কথা বলতে বলতে আটকে যায় তাদের নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না আপনারা। আমার ব্যক্তিজীবন, রাজনীতি, ফাউন্ডেশন, কাজ সবকিছু নিয়ে আপনারা টর্চার করতেছেন। দেশে ১৮ কোটি মানুষ- কতজন কত কিছু করতেছে তাদের নিয়ে তো কিছু বলেন না।
তিনি বলেন, আমি মরে গেলে দেশের রুচিসম্মত লোক দায়ী থাকবেন। রুচি কি বুঝায়- আমি বুঝি না। আমি তো রুচি নিয়ে দুনিয়াতে আসি নাই। তাহলে কেন আল্লাহ্ আমাকে দুনিয়াতে পাঠালেন, কেন আমাকে সুন্দর বানালেন না, কেন আমাকে শিক্ষিত করলেন না, কেন আমার অর্থসম্পদ দিলেন না