খারগোন বন বিভাগের চিড়িয়া ফরেস্ট রেঞ্জে বাঘের আক্রমণে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, ওই যুবক বাঘের লেজে লাঠি মারে। আর ঠিক তার পরেই ক্রুদ্ধ বাঘ, তাকে পালটা আক্রমণ করে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের ইয়াভাল অভয়ারণ্য থেকে খারগোন জেলার চিড়িয়া ফরেস্ট রেঞ্জে পৌঁছানো বাঘটিকে বুধবার সন্ধ্যা থেকে গ্রামের লোকেরা হয়রানি করছিল।
ভিকানগাঁও মহকুমা আধিকারিক (বন) দীনেশ ভাস্কেল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ইয়াভাল অভয়ারণ্য থেকে বাঘটি খারগোনের চিড়িয়া ফরেস্ট রেঞ্জের আম্বা দোচর এলাকায় এসেছিল এবং এখানে শিকার করে বিশ্রাম নিচ্ছিল।
খারগোন বন বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক প্রশান্ত সিং জানিয়েছেন, ১০-১২ কিলোমিটার হাঁটার পর বাঘটি ফিরে এসে খুশিয়ালী গ্রামের একটি ছোট মাঠে প্রায় চার ঘণ্টা বসেছিল। বাঘের উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর গ্রামবাসীরা বাঘটিকে হয়রানি করতে শুরু করে।
এই সময় সন্তোষ নামে এক যুবক লাঠি দিয়ে বাঘের লেজে আঘাত করে এবং বাঘটি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা দেখার চেষ্টা করে। বাঘের লেজের কাছে লাঠিটি আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে বাঘটি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভিকানগাঁও য়ের সাব-ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) দীনেশ ভাসকেল জানিয়েছেন, ওই যুবকের নাম সন্তোষ ভাস্কর (৩৫)। বাঘের আক্রমণে আহত ভাস্করকে পার্শ্ববর্তী খান্ডওয়া জেলা থেকে ইন্দোরে নিয়ে যাওয়া হলেও বারওয়াহ শহরের কাছে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
বন বিভাগের আধিকারিকরা জানান, বন বিভাগের কর্মীদের দায়িত্ব দিয়ে এই বাঘের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে।এ ছাড়া গ্রামবাসীদের বনে না যেতে এবং বাঘকে বিরক্ত না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।