জানা গেছে, রেললাইনের ধারে রহস্যজনকভাবে দুই টুকরো করে কাটা অবস্থায় পাওয়া যায় টুটান দে নামে ওই যুবককে। স্বভাবতইঃ মনে হতে পারে, রেলে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু, একটি ফোন কল, সমস্ত বিষয়টিতে এক গভীর রহস্যের ছায়া ফেলেছে।
খবরে জানা গেছে, ওই যুবক তার মাকে ফোন করে অনুরোধ করেছিল, "মা, দয়া করে আমাকে বাঁচাও ওরা আমাকে হত্যা করতে চলেছে। আমি তোমাকে আর দেখতে পাব না। দয়া করে আমাকে বাঁচাও মা"।
উল্লেখ্য, টুটান দে ট্রেনের এসি বগিতে বেডরোল সরবরাহকারী হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।
তিনি ১ মার্চ লামডিং থেকে ডিব্রুগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন এবং পরে ডিব্রুগড় থেকে ডিব্রুগড়-গোরক্ষপুর স্পেশাল হোলি ট্রেনে ট্রেনে বেডরোল সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করতে থাকেন।
নিহতের পরিবার সন্দেহ করছে যে টুটানকে ট্রেনের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল এবং তার দেহ গোরক্ষপুর স্টেশনে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
খুন হওয়ার আগে তুতান তার মাকে ফোন করে জানায় যে তাকে হত্যা করা হবে। তিনি বলেন, খুনিরা তাকে কীভাবে হত্যা করবে সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করেছিল। শনিবার রাতে তাকে হত্যা করা হবে বলে দাবি করেন তিনি।
যদিও প্রথমে তার পরিবার ীটা বিশ্এবাস করে নি, বরং ভেবেছিল হয়তো সে ভয় পেয়ে ওই কথা বলছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শেষ পর্যন্ত পরিবারের লোকেরা তার মৃত্যুর খবর পায়। এদিকে, অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।