অন্যদিকে, কলকাতার তিনটি অভিজাত হোটেলের কফি শপের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। ইডি জানতে চাইছে, এই কফি শপে ঠিক কারা উপস্থিত থাকতো।
এই কফি শপে বসে চাকরি সংক্রান্ত আলোচনা হতো কিনা, কারা কারা এই আলোচনায় থাকত, সব কিছু খতিয়ে দেখার জন্যই এই ফুটেজ চাওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আজ সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন কুন্তল-পত্নী। সূত্রে জানা গেছে, জয়শ্রী ঘোষের নামে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
এছাড়া তিনি কুন্তল ঘোষের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নমিনি হিসাবে রয়েছেন। এই ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার জন্যই তাকে তলব বলে জানা গেছে। ইডির গোয়েন্দারা সেই সব সম্পত্তি ও তাঁর ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে কুন্তলের ফ্ল্যাটে তল্লাশির দিনেও তাঁর স্ত্রীকে ইডির প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
এর আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে তাপস মণ্ডল সম্পর্কে বলেছিলেন জয়শ্রী। তিনি দাবি করেছিলেন, কুন্তলকে গ্রেফতার করার আগে তাঁদের যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি, সেই ফ্ল্যাটে নাকি দিনের পর দিন থাকতেন তাপস মণ্ডল।
বিশেষত লকডাউনের সময় ওই ফ্ল্যাটে থেকে তাপস তাঁর কাজকর্ম চালাতেন বলেও দাবি করেছিলেন কুন্তলের স্ত্রী। ইডি-কে সে বিষয়ে তদন্ত করার আর্জিও জানিয়েছিলেন.
ইডি সূত্রের খবর, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৭৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। সেই সমস্ত বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। জয়শ্রী ঘোষের বয়ান এদিন রেকর্ড করবেন ইডির গোয়েন্দারা।