জানা গেছে আগামি ৫ মে তাদের দিল্লিতে হাজিরা দিতেই হবে। না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে সমন জারি করবে কমিশন। আর সেই সমন এড়িয়ে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করার রাস্তাও খোলা রেখেছে কমিশন।
কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার জানিয়েছেন, কালিয়াগঞ্জ কান্ডে উত্তরবঙ্গের আইজি দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং, উত্তর দিনাজপুরের এসপি সানা আখতার ও জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
একই সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি, ওই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক ও উত্তর দিনাজপুরের এসপি সানা আখতারকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে।
কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, আমি বাঙালি ও আমার একটি রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে বলে কমিশনের পদকে যে ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য হয়।
গত ২৩ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা মৃত্যুর তদন্তে আসেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তিনি বলেন, ‘জাতীয় তফশিলি কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি।
তারা দেশের যে কোনও জায়গায় তপশিলিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে তদন্ত করতে পারে। এমনকী তাদের বিচাবিভাগীয় ক্ষমতা রয়েছে। প্রোটোকল অনুসারে কমিশনের কোনও সদস্য কোনও ঘটনার তদন্ত করতে গেলে সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। কিন্তু কালিয়াগঞ্জে তাদের কারও দেখা পাওয়া যায়নি। ’