ভিওয়ান্ডির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নবনাথ ধাভলে পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভবনের মালিক ইন্দ্রপাল পাতিলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভবনের নিচতলা ও প্রথম তলায় গোডাউন এবং উপরের তলায় চারটি পরিবার কংক্রিটের স্তূপে চাপা পড়ে। লোডিং এবং আনলোডিংয়ের জন্য গুদামে আসা একটি কন্টেইনার এবং দুটি টেম্পোও নষ্ট হয়ে যায়।
থানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেলের প্রধান অবিনাশ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী এবং সিভিক টিমের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসাবে কাজ করে চলেছে। এখনও বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার কাজ আজও চলছে।
নারপোলি থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর মদন বল্লাল জানিয়েছেন, আজ সকাল ৮টা নাগাদ ধ্বংসস্তূপ থেকে সুনীল পিসা (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভিওয়ান্ডির আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবিনাশ সাওয়ান্ত বলেন, উদ্ধারকারী দল উপরের তলা পরিষ্কার করেছে, তবে নিচতলা এবং প্রথম তলা যেখানে বেশিরভাগ শ্রমিক গোডাউনে কাজ করছিলেন তা এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। সাওয়ান্ত আরও জানান, ভবনটি একটি জনপ্রিয় ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানির মালিকানাধীন।
এ ঘটনায় মাকে হারানো দুই ভাই-বোনসহ ১০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক এবং মাটি সরানোর মেশিনও ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এই ঘটনাকে "অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক" বলে অভিহিত করেছেন এবং শনিবার গভীর রাতে ভিওয়ান্ডির আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের পাশাপাশি ধসে পড়া বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।