Breaking News

6/trending/recent
সংবাদ ভয়েস ৯ বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও অনাবাসী বাঙ্গালীদের প্রিয় নিউজ পোর্টাল হোয়াটসঅ্যাপ +৯১-৮৯২৭০৪২৫৯৪ সম্পাদক : তারক ঘোষ

Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

পুঞ্চ জঙ্গি হামলা: আজ সকালে নিহত জওয়ান দেবাশীষ বিসওয়ালের দেহ পৌঁছল ওড়িশায়

ভয়েস ৯, ভুবনেশ্বরঃ তারা লড়েন দেশের জন্য, মাস মাইনের জন্য নয়। তারা নিজের জীবনকে নিবেদন করেন মাতৃভূমির চরণে। দেশমাতাকে ভালোবেসে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুসেনার উপর। ফেলে আসা বাড়িতে রয়ে যাওয়া মুখগুলোর কথাও তাদের সেই মুহুর্তে মনে পড়ে না। একটাই মুখ ভাসে- দেশ-মাতার মুখ। 
 গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় যে সন্ত্রাসী হামলা হয়, সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ সেনানী। আর তাদের মধ্যে ছিলেন দেবাশীষ বিসওয়াল। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের সৈনিক ছিলেন। আজ সকালে তার নিথর মরদেহ ওড়িশায় পৌঁছেছে।
 ওড়িশার রাজ্যপাল গণেশী লাল, ভুবনেশ্বরের মেয়র সুলোচনা দাস, রাজ্য বিজেপি সভাপতি মনমোহন সামাল এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শহিদ জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। 
বিমানবন্দরে ওড়িশার বিজেপি সভাপতি মনমোহন সামাল বলেন, 'বিসওয়াল যে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা দেশ মনে রাখবে। তিনি ওড়িশার গর্ব। আমি ভগবান জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই দুঃখের সময়ে প্রয়োজনীয় শক্তি দান করেন।'
বিমানবন্দরে উপস্থিত টুইন সিটি পুলিশ কমিশনার সৌমেন্দ্র প্রিয়দর্শীও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার চেয়ে বড় কিছু নেই। আমরা পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে ভুবনেশ্বরে তাঁর দেহাবশেষ গ্রহণ করেছি। এটি এখন সখিগোপালে তাঁর গ্রামে পাঠানো হবে।" 
জানা গেছে, পুরী জেলার সত্যবাদি থানার অন্তর্গত আলুগুমা গ্রামে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বিসওয়ালের গ্রামে এখন শোকের ছায়া। সেনার মৃত্যুতে শোক আসে না, কিন্তু, এই মৃত্যু তো সেনারা চায় না। তার চায় যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করে মরতে। সন্ত্রাসবাদীরা কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়েছে, তাই গ্রামের মানুষরা চান, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের শেষ হোক। 
জানা গেছে, বিসওয়ালের বাবা-মা, স্ত্রী ও সাত মাসের এক মেয়ে রয়েছে। সেনাবাহিনী রয়টার্সকে জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড ব্যবহারের কারণে পুঞ্চ জেলায় আজ বিকেলে একটি গাড়িতে আগুন লেগে পাঁচ সেনা জওয়ান নিহত এবং এক জওয়ান আহত হয়েছেন। 
আর এ ঘটনায় সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে - সন্ত্রাসীরা গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়, পরে তারা গ্রেনেড নিক্ষেপ করার পরে এটি আগুনে পুড়ে যায়। গুরুতর আহত আরও এক জওয়ানকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে রাজৌরির সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad