গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পর এই চক্রের কোন এক ব্যক্তি, যার বাড়ি বীরভূমের লাভপুরের কাছে বলে জানা গেছে, সে সামনে আসে। গ্রাকককে বলে, তাকে একটা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সরল গ্রাহক বুঝতে পারেন না, সেভিংস এর বদলে কেন কারেন্ট অ্যাকাউন্ট!
অ্যাকাউন্ট খোলার নামে এরা সেই বোকা গ্রাহক’এর কাছ থেকে নগদ ৩০,০০০ টাকা, আধার কার্ডের কপি, ভোটার কার্ডের কপি, প্যান কার্ডের কপি ও ২ কপি ফোটো নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। তারপর গ্রাহককে ব্যাঙ্কের বাইরে দাঁড় করিয়ে অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়ে চলে যায়, ব্যাঙ্কের ভিতরে।
পরে, এরা ব্যাঙ্কের বাইরে বেরিয়ে এসে গ্রাহককে ব্যাঙ্কের পাশ বই দেখায়। কিন্তু, সেই পাশ বইএর দুটি জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চেপে রাখে। একটি হলো অ্যাকাউন্ট নম্বরের শেষ ৭ টি ডিজিট ও কাস্টমার আই ডির শেষ ডিজিটগুলো।
কেন ওই দুই জায়গা চেপে রাখে তার কারণ পরে জানা যায়। এরপর ওই গ্রাহক তার ব্যাঙ্ক পাশ বই চাইলে ওই চক্রের লোক জানায়, ব্যাঙ্ক এটা ডাকযোগে গ্রাহকের বাড়িতে পাঠাবে।
এরপর, ওই গ্রাহককে দিয়ে অ্যাকাউন্ট ক্লোজের একটা আবেদনপত্রও লিখিয়ে নেয়।
যদিও দেখা গেছে, সেই আবেদনপত্রের কোথাও কোন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আবেদন করা হচ্ছে, তা লেখা নেই, এমনকি নেই কোন ডেটও। একটা ভুল্ভাল আবেদনপত্র।
এরপর গ্রাহক বাড়ি ফিরে অপেক্ষায় থাকেন, কবে তার পাশ বই আসবে। যথারীতি মাসখানঙ্ক কেটে গেলেও সেই পাশ বই আসে না। আর গ্রাহক যেহেতু তার কাস্টমার আইডি ও অ্যাকাউন্ট নম্বরের পুরোটা পড়তে পারেন না, তাই জানতেও পারেন না, তার অ্যাকাউন্ট নম্বর কত?
প্রশ্ন উঠতে পারে, ওরা এইভাবে কেন অ্যাকাউন্ট খোলায়, আবার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট?
অভিযোগ, এই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে বেআইনিভাবে টাকা পাচার করার একটা সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু, কে পাচার করছে, জানা যায় না, কারণ, যার অ্যাকাউন্ট সেই সামনে চলে আসে। পিছনে কারা আছে, সেটা সহজে ধরা যায় না। অবশ্য তদন্ত করলে সহজেই এদের ধরা সম্ভব। এইভাবে, এরা অন্য লোকের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে কেন রাখছে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন, আবার সেই বীরভূমে।