বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন আলমগীর। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে আলমগীর তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে নিজের দাদির কক্ষে যান। তবে সেসময় দাদি অসুস্থ থাকায় মধুপুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসে দেখেন তার কক্ষের দরজা বন্ধ। এরপর দরজা ভেঙে আলমগীরকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেন।
এ সময় দাদি ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
মধুপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কমিশনার বেশর আলী ফকির বলেন, সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আলমগীরকে মারধর করেছেন বলে জানতে পেরেছি। ওই অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।