গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের এসব তথ্য জানান।
শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, শেখেরটেক এলাকায় বাবা ছেলে এক বাসায় থাকতেন। আটক সুমন এলোমেলো কথা বলছে।
তাঁকে দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হচ্ছে। আর হত্যার ঘটনা গতকাল বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের যেকোনো এক সময়ে ঘটেছে বলে ধারণা করছি।
ওসি বলেন, সুমন একজন বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন। গত ছয় মাস ধরে অফিসে যান না বলে জানতে পেরেছি। তবে এই বিষয়ে আমরা আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি।
বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, গত বুধবার দুপুরের দিকে সুমন দুধ কিনতে দোকানে যান। দাম নিয়ে দোকানদারের সঙ্গে ঝগড়া বাধান। এরপর বাসায় প্রবেশের সময়ে নিরাপত্তা কর্মীর সঙ্গেও ঝগড়া করেন। পরবর্তীতে বাসায় এসে দরজা বন্ধ করে দেন।
আজ বিকেলের দিকে বাড়ির মালিক গেটের নিরাপত্তাকর্মীকে নিয়ে ভাড়া চাইতে গেলে বাড়ির মালিকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেন। বিষয়টি সুমনের বাবা নুরুল আলমকে জানাতে বাসায় প্রবেশ করলে রুমের ভেতর খাটের ওপর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। নিহতের ছেলে সুমনকে আটক করা হয়েছে। তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে, তারা আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।