রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোছাঃ শামছুন্নাহার নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মাওনা থেকে রিদিশা ফ্যাক্টরির গার্মেন্টকর্মী দুই সন্তানের জননী শামছুন্নাহার বাসে করে ভালুকা ফিরছিলেন। পথে ভালুকা সীডস্টোর এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে তাকে একা পেয়ে বাসের চালক ও সহকারী ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ অবস্থায় আত্মরক্ষায় বাস থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভালুকা সীডস্টোরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভোরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে চালক-সহকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন বাসচালক টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ২১ বছর বয়সী রাকিব, সহকারী ময়মনসিংহের ত্রিশালের রায়মনি এলাকার ২০ বছর বয়সী মোঃ আরিফ ও সুপারভাইজার একই উপজেলার ১৯ বছর বয়সী আনন্দ দাস।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ফারুক হোসেন জানান, শামছুন্নাহারের মাথার আঘাত গুরুতর ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
<</